×
অনুসন্ধান
EveryBengaliStudent.com
জীবন এবং ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্নগুলি
 আবিস্কার করার জন্য নিরাপদ স্থান
সম্পর্কগুলি

নেকড়েদের সাথে প্রেম

একজন ব্যক্তি আপনাকে প্রেম সম্পর্কিত সৎ একটি পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি যৌনতা এবং প্রেম সম্পর্কে যা আবিষ্কার করেছেন তা দেখুন…

WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More PDF

অপরিচিত এক ব্যক্তির লেখা

একটি প্রবাদ আছে যে,‘‘ সবচেয়ে উত্তম পরিকল্পনা হল অন্যের বোকামি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।’’ এই প্রবন্ধটি এ সম্পর্কেই লেখা। আমি—মেয়েদের এবং সম্পর্ক সম্বন্ধে যা শিখেছি সেগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। বিশেষ করে, আমি কেন বিয়ের আগে কোন প্রকার যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত আছি তার দশটি কারণ নিম্নে উল্লেখ করছি।

#১: আমি এখন জানি যে যৌনতা ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়

যখন আমি কলেজে ছিলাম, আমার একটি অভিজ্ঞতার কথা মনে আছে যাকে ‘‘প্রেমের হ্যাঙ্গওভার’’ বলা হয়। একজন মেয়ের সাথে রাত কাটানোর পর, পরের দিন সকাল থেকে সবসময়ই আমি শূনতা অনুভব করলাম। এটা এমন একটা বিষয় যেটা আপনি কখনও কোন টিভিতে বা কোন ছায়াছবিতে দেখবেন না, কিন্তু এরকমটা প্রায়ই হয়ে থাকে। এই অভিজ্ঞতার পর শূন্যতা, এমনকি অনুতাপেরও সৃষ্টি হয়।

‘‘প্রেমের হ্যাঙ্গওভার’’ আমার জন্য অদ্ভুত একটি ঘটনা ছিল। আসলে আমি যখন কলেজে ছিলাম তখন যৌনতা আমার কাছে ‘‘ঈশ্বরের’’ মত ছিল। একজন পুরুষ হিসেবে, এটাই আমি সকাল, বিকাল এবং রাতে চিন্তা করছিলাম। তাহলে আপনি হয়ত এটা বুঝত পারছেন যে যৌন সম্পর্ক হয়ত সম্পূর্ণভাবে পূর্ণতাদায়ক—যেটাকে আমি আমার ‘ঈশ্বর’ বলে মানতাম সেটার মুকুট অর্জনের মত বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু তবুও, পরবর্তীতে সেই অর্জনের মধ্যে পূর্ণতার ঘাটতি ছিল।

আপনারও কি এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে? আপনি কখনও ‘‘প্রেমের হ্যাঙ্গওভার’’ করেছেন? যদি আপনি তা করে থাকেন তাহলে সেখানেই আপনার থেমে যাওয়া উচিত এবং এটা বোঝা উচিত, ‘‘এমন কেন হয়? যা কিনা আমার মধ্যে শূন্যতার সৃষ্টি করে, সেই যৌনতা কেন আমার কাছে এতটা গুরুত্বপূর্ণ?’’

আমার মনে আছে আমিও এই একই শূন্যতার দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছি। তখন আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম যে, ‘‘আমার আরও [যৌন] সম্পর্ক করা প্রয়োজন।’’ (আমরা প্রায়ই এমন কিছুর চিন্তা করি যেগুলো আমাদের আশা যোগাবে, কিন্তু পরবর্তীতে তা করে না। উদাহরণস্বরূপ, আমরা আমাদের বহুল প্রত্যাশিত গাড়ি যখন পাই, তখন এটা পরবর্তীতে শুধু ‘‘ভাল’’ এমন আবেদন বহন করে। কিন্তু আমরা কখনও এটা চিন্তা করি না যে একটা গাড়ি কখনও আমাদেরকে পরিতৃপ্তি দিতে পারে না, আমরা স্বাভাবিকভাবে এটা চিন্তা করি যে, ‘‘আচ্ছা, আমার মনে হয় এই গাড়িটি সঠিক গাড়ি নয়। অন্য কোন গাড়ি আমাকে স্থায়ী পরিতৃপ্তি দেবে।’’)

কিন্তু শূন্যতা থেকেই যায়। তাই, অবশেষে, আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে বিবাহপূর্ব কোন যৌন সম্পর্ক যতটা আবেদনশালী মনে হয় সেটা আসলে ততটা নয়। এটা আসলে প্রতারণার মত। মুভিগুলোতে একে যেমন দেখানো হয় এটা আসলে সেরকম নয়। যদি তাই হতো, তাহলে সেটা আসলে সম্পূর্ণভাবে পূর্ণতা দান করত। এটা যদি সত্যিই তাই হত তাহলে সেখানে কোন শূন্যতা থাকত না।

#২. আমি এখন মহিলাদের প্রতি আরও সন্মানীয় দৃষ্টিকোণ রাখতে চাই।

আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে মেয়েরা যৌনতা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে বোঝে না। এটা হল, তাদের দৃষ্টিকোণ যেটা একজন পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। একজন মেয়ে যৌনতাকে এই বলে বিচার করবে যে,‘‘কিন্তু আমি ওকে ভালবাসি,’’ যদিও সে এর মধ্য দিয়ে যেতে অনিচ্ছুক। এটা কেন হয়? বলা হয়ে থাকে যে,‘‘ মেয়েরা ভালবাসা পাবার জন্য শারীরিক সম্পর্ক করে; আর ছেলেরা শারীরিক সম্পর্কের জন্য ভালবাসার ব্যবহার করে।’’

এটা এভাবে কাজ করে: মেয়েটি কল্পনা করে যে সেই পুরুষের সাথে সে একদিন দাম্পত্য জীবন-যাপন করবে; আর ছেলেটি কল্পনা করে যে সেই মেয়েটির সাথে সে যা করবে সেটা সে কখন তার বন্ধুদের সাথে গিয়ে বলবে। আর এটাই সেই বিষয় যেটা সেই মেয়েটিকে ভেতর থেকে বলছে এট করাই ঠিক, আর সেই ছেলেটিকেও ভেতর থেকে বলছে যে এর বিপরীত করাটাই ঠিক, আর সে সেইমতই কাজটি করে। কেন? এতে কোন সন্দেহ নেই যে এটা শারীরিক চাহিদা, কিন্তু আমি মনে করি যে, এর আরও একটি কারণ রয়েছে: এটা সেই পুরুষকে তার পুরুষত্বের অনুভূতি দান করে। কিন্তু এখানে বিশাল এক বিড়ম্বনা রয়েছে, যে একজন মহিলাকে ধোঁকা দেওয়া কি ঠিক?

আমি এমন কিছুই আবিষ্কার করেছি যে, যখন আমি একজন মহিলাকে সম্মান করবেন, তখন আপনি নিজেকেই সম্মান করছেন। কেন? কারণ একদিন আপনি অনুতাপ করবেন, আর সেই অনুতাপ সেই সুখকর অনুভূতির থেকে দীর্ঘস্থায়ী হবে। রব রয় মুভিটিতে প্রধান চরিত্রটি বলে যে,‘‘সম্মান একটি উপহার যেটি একজন পুরুষ নিজেই নিজেকে দিয়ে থাকে।’’ যখন আপনি আপনার মনের পরিচালনাতে কোন কাজটি করা ঠিক সেই্ কাজটি করার মাধ্যমে একজন মহিলাকে সম্মান করেন, (এটা হল সেই মহিলাটির সবচেয়ে বেশি উৎসাহমূলক ক্ষেত্র কোনটি), তখন আপনি নিজেকেই সম্মানিত করেন এবং আপনাকে এটা নিশ্চিত করে যে আপনার আর কোন দীর্ঘস্থায়ী অনুতাপ থাকবে না।

#৩: এটা অন্য একজনের স্ত্রী।

আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হল: বেশিরভাগ মেয়েই অন্য পুরুষের সাথে বিবাহিত। যখন আমি সেই পুরুষদের জুতোর সাথে নিজেকে তুলনা করি, তখন আমি শুধু আফসোস করেছি যে আসলে আমার সেই কাজটি করা উচিত হয় নি। আসলে, আমি নিজের নাকে নিজে ঘুষি মারতেও চেয়েছিলাম।

আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে যখন আমি বিয়ে করব তখন আমি নিশ্চই এটা পছন্দ করব না যে আমার স্ত্রীর সাথে অন্য কারও একইভাবে সম্পর্ক হয়েছিল। আপনার কি মনে হয়? আপনার স্ত্রীর সাথে অন্য কারও এমন সম্পর্ক থাকুক এমনটা কি আপনার পছন্দ করবেন? বর্তমানে যদি আপনার কোন প্রেমিকা থেকে থাকে এবং আপনি এভাবে চিন্তা করছেন, তাহলে চিন্তা করুন এই অনুভূতি যদি আপনার স্ত্রীর ক্ষেত্রে হয় তা কতটা শক্তিশালী হবে।

আপনি একে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। ধরুন সেই মেয়েটি একজন বাবার কন্যা। যদি সেই মেয়েটি আপনার কন্যা হতো তাহলে কী হতো? অথবা মেয়েটি যদি আপনার বোন হতো তাহলে কী হত? আমি কি কখনও চাব যে আমার মত কোন সুবিধাবাদী ছেলে সেই মেয়েটির সাথে সম্পর্কে জড়িত থাকুক? এখন আমি মেয়েদেরকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি। তারা কারো না করো হবু-স্ত্রী, কোন বাবার কন্যা, কারও বোন ইত্যাদি হতে পারে।

৪#যৌনতা আমার সবচেয়ে ভাল সম্পর্কগুলোকে নষ্ট করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, কলেজে আমার পছন্দের একজন প্রেয়সী ছিল, যে ছিল আমার স্বপ্নের রাজকন্যা। তার সাথে আমার কখনও ঢিমে কোন মুহূর্ত ছিল না। আমরা সম্পূর্ণভাবে ‘‘সতেজ’’ ছিলাম। আমরা কিছুকাল অপেক্ষা করেছিলাম, তারপর আমার ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে আমরা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লাম।

দ্রুতই এই শারীরিক চাহিদা আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি হিসেবে গড়ে উঠল। আমি যে কোন পর্যায়েই ওকে জানার চেষ্টা করা বন্ধ করে দিলাম। আর তাই, একসাথে বৃদ্ধি পাওয়ার বদলে, আমরা একে অপরের থেকে দূরে সরে যেতে থাকলাম। এর মধ্য দিয়ে আমি যা বলতে চাচ্ছি যে, ‘‘যৌনতা আমার সবচেয়ে ভাল সম্পর্কগুলোকে নষ্ট করে ফেলেছে’’। মানুষ একে বিভিন্ন স্তরের সাথে সামঞ্জস্যতা দান করে—আবেগীকভাবে, মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে, আত্নিকভাবে। কিন্তু যখন আমার প্রেমিকা এবং আমি বেশিরভাগটাই শারীরিকভাবে কাছাকাছি ছিলাম, তখন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের সম্পর্কগুলোর অন্যান্য অংশগুলোতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হল। ফলে, গোটা সম্পর্কটাই দক্ষিণের দিকে চলে যেতে লাগল। যদি আমরা অপেক্ষা করতাম তাহলে হয়ত আজ আমরা একসাথেই থাকতাম।

আমি শুধু আমার সম্পর্কই নয়, অনেক মানুষের অগণিত সম্পর্কগুলোতে এমনটা হতে দেখেছি। আর আমি মনে করি যে এর জন্য একটি কারণ রয়েছে যেটা আমি পরবর্তীতে আলোচনা করব।

#৫: বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক সম্পর্কের অন্য অংশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করে

একবার যখন আমি একটা মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলাম তখন আমার সাথে দুটো বিষয় ঘটেছে। যখন আমি সেটা দিকে ফিরে তাকাই তখন আমি বলতে পারি যে এটা আমার সাথে প্রতিবারই হয়েছে, যদিও সেই সময়ে আমি এই সকল ফলাফল সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম। সেই দুটি বিষয় হল: ১) আমি মেয়েটির জন্য সম্মানবোধ হারিয়ে ফেলেছিলাম (যদিও আমি তা চাই নি); ২) সেই মেয়েটি আমাকে ভুল বোঝা শুরু করল (যদিও সে তা করতে চায় নি)।

আমি জানি না এমনটা কেন হয়েছিল, আমি শুধু জানতাম যে এমনটাই হয়েছিল। হয়ত আমাদের ‘‘শরীরে’’ এমনটা আগে থেকেই তৈরী হয়ে রয়েছে। কিন্তু একটা বিষয়ে নিশ্চিত যে: আমি একা ছিলাম না। আমি বার বার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখেছি। আমি জানি যে অনেক দম্পতির এই ধরণের সমস্যা রয়েছে কারণ তারা বিবাহপূর্ব শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। তারা বিয়ের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি বিষয় যেগুলো হল একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ এবং বিশ্বাসের ঘাটতিতেই বিয়ে করে।

আমি জানি যে সদ্য বিবাহিত দম্পতিরা মাসে একবারের বেশি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় না এই কারণে যে—স্বামী স্ত্রীকে সন্মান করবে না, আর এটা সেই স্ত্রী জানে, এবং স্ত্রী তার স্বামীকে বিশ্বাস করে না, তাই সে তার স্বামীর কাছে নিজেকে দিতে চায় না। এটা খুবই বেদনাদায়ক বিষয়, আর আপনি সাধারণভাবে যেমনটি ভাবছেন তার থেকে আরও বেশি সাধারণ ঘটনা। কিন্তু কেউ এই ধরণের বিষয় নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলে না। আর মুভি এবং টিভিতে বিবাহপূর্ব শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া দম্পতিদের মধ্যে এই বিষয়টি কখনই উপস্থাপন করা হয় না। এটা এমন একটা বিষয় যা ঠিকই ঘটছে কিন্তু কেউই এই বিষয়টি সম্পর্কে কোন কথা বলতে চায় না।

#৬: আমার স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য অপেক্ষা করার মানে হচ্ছে আমার দম্পত্য জীবনে আরও ভাল শারীরিক সম্পর্ক তৈরী হবে।

কেন? কারণ আমি আমার হবু স্ত্রীর জন্য আরও বেশি সন্মানবোধ এবং আমার প্রতি তার আরও বেশি বিশ্বাস রাখার বিষয় নিয়ে আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবো। আমি একটি বিষয় শিখেছি: যদি একটা মেয়ে একজন ছেলেকে বিশ্বাস না করে, তাহলে সেই মেয়ে সেই ছেলের কাছে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে দিতে পারে না। গভীরে, সেই মেয়েটি ছেলেটির সাথে উপভোগ্য সময় কাটাতে পারে না।

এটা এভাবে কাজ করে যে: ‘‘মেয়েরা ভালবাসার জন্য শারীরিক সম্পর্ক করে, আর ছেলেরা শারীরিক সম্পর্কের জন্য ভালবাসে।’’ একজন দম্পতি বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবে। মেয়েটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য এটা করে। আর ছেলেটি সেই গোটা সম্পর্কের চাইতেও শারীরিক সম্পর্কটাকে বেশি চায় বলে এটা করে। তারপর, বিয়ের পরে, সেই স্ত্রী যা চায় তা পায় আর সেটা হল স্বামীর প্রতিশ্রুতি। তাই তার আর সেই পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রয়োজন পড়ে না। আর, যেহেতূ সেই মেয়েটি তাদের বিয়ের আগে তাদের সহবাসের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেছিল তাই সে এখন আর শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহী নয়। আর সেই পুরুষের- যে তার স্ত্রীর সাথে বিয়ের আগে সহবাসের কারণে তাকে আর মূল্য দেয় না—সে তবুও তার স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক চায়, কিন্তু তা তাদের সম্পর্কের সার্বিক বন্ধনের জন্য নয়। স্ত্রী মনে করে যে এটা শুধুই শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই বিয়ের এই জীবন যাচ্ছেতাই ভাবে চলে।

আমি এই বিষয়গুলোকে উসকে দিচ্ছি না। এখন আমি আর কলেজে নেই আর আমার আশেপাশের লোকজন বিয়ে করছে, আমরা আমি সবসময়ই এগুলো দেখে যাচ্ছি। এর প্রতিষেধক হল: সহবাসের জন্য বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করার মাধ্যমে একজন স্বামীর তার স্ত্রীর প্রতি যে

মন সন্মানবোধ বৃদ্ধি পায় তেমনি একজন স্ত্রীরও তার স্বামীর প্রতি সন্মান বৃদ্ধি পায়। আর এর ফলস্বরূপ তাদের আরও ভাল এবং পৌনঃপুনিকভাবে একে অপরের সাথে মিলিত হবে কারণ তারা একে অপরকে আরও বেশি সন্মান করে এবং একে অপরকে আরও গভীরভাবে ভালবাসে।

#৭: অন্য মহিলার সাথে দৈহিক সম্পর্ক না করা মানে হল আমার দাম্পত্য জীবনে আরও ভাল দৈহিক সম্পর্ক।

যৌনতা একটি রহস্যময় বিষয়, যেটি মানুষের মধ্যে গভীর বন্ধনের সৃষ্টি করে, যদিও আমরা একে ‘‘নৈমিত্তিক’’ বলে থাকি। এখানে সমস্যাটি হল: আমি অন্য মেয়েদের সাথে যত বেশি সম্পর্ক রাখব ততই আমি আমার হবু- স্ত্রীর সাথে বন্ধন কমে যেতে থাকবে। এটা হল স্কচ টেপ এর মত—একে আপনি যত বেশি ভিন্নরকম মেঝেতে ব্যবহার করবেন, এটা তত কম কোন জিনিসের সাথে আটকাবে। কিছুসময় পরে, সেটা আর কোন কিছুর সাথেই আটকাবে না।

যদি আমি বিয়ের আগে কোন মেয়েদের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হই তাহলে কোন একদিন আমি আমার স্ত্রীর সাথে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারব না। আমি তাকে যতটা আগলে রাখতে পারতাম ততটা আগলে রাখতে পারব না, এবং তাকে আমি যতটা ভালবাসতে পারতাম ততটা ভালবাসতে পারব না। প্রতিটি দিন অতিবাহিত হবার সময় আমি আমার হবু স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকার মানে হল তার সাথে আমার সম্পর্ক আরও গভীর হবে।

এটা একটি মজাদার বিষয়: আমাদের সংস্কৃতি ব্যভিচারকে সমর্থন করে না, তবুও এটি স্বাধীনভাবে বিবাহপূ্র্ব সহবাস, এমনকি একাধিক সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের বিষয়টি প্রশ্রয় দেয়। এটা বিদ্রূপাত্নক। কারণ, যদি আপনি সার্বিক ফলাফল থেকে সময়কে গ্রহণ করেন, তাহলে বিবাহপূর্ব সহবাস ব্যাভিচারের মতই। আমরা এটা বুঝতে পারি যে ব্যভিচার একটি বিবাহিত দম্পতির সম্পর্ককে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে, হয়ত বিবাহপূর্ব সহবাস আসলে একই ফলাফল বয়ে নিয়ে আসতে পারে। এটা একজন পুরুষ এবং মহিলার সম্ভাব্য সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্থ করে।

#৮: যদি আমরা ‘‘শারীরিকভাবে সক্ষম’’ থাকি তাহলে আমার অন্য মহিলাদের সাথে সহবাসের প্রয়োজন নেই।

যৌনতা কোন সম্পর্কের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটা সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়। আর এটাই আমি খুঁজে পেয়েছি। এটা হল যখন আপনার সম্পর্কের সমস্ত দিকগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে তখন এগুলোকে শীতলীকরণ করে রাখার মত। আমি এটা বুঝেছি যে সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলো যদি ভাল থাকে তাহলে যৌনতার বিষয়টিও উপভোগ্য হবে। এজন্যই আমি জানি যে যদি আমরা শারীরিভাবে সক্ষম থাকি তাহলে আমার অন্য মহিলাদের সাথে সহবাস করার কোন প্রয়োজন নেই। যদি আমাদের সম্পর্কের অন্য দিকগুলো ভালভাবে চলে তাহলে যৌনতার বিষয়টিও ভালভাবেই চলবে।

এখানে অন্য কিছু একটা বলা দরকার। অন্য আরেকটি বিষয় যেটা আমি ‘‘আবিষ্কার’’ করেছি তা হল: যখন আপনি সম্পর্কের নির্ধারক উপাদান হিসেবে যৌনতাকে নিয়ে আসেন, তখন হয়ত সেটি আশানুরূপ নাও হতে পারে। এই বিষয়ে একটু ভাবুন। যদি আপনি কোন মাইক্রোস্কোপের নিচে শারীরিক সম্পর্ককে রাখেন, আর সবসময় একে বিচারাধীন এবং সম্পর্কটাকেই যদি আপনি এটা দ্বারা বিচার করেন, তাহলে সর্বনাশা ব্যর্থতায় পরিণত হবে। এটা কোন জেলে থাকার মত। আপনি এমন একটা জায়গায় বন্দী আছেন যেটা কখনই স্বাধীনতা দেয় না, যেটা থাকার জন্য অযোগ্য একটি জায়গা।

কিন্তু যখন আপনি সম্পর্কের অন্যান্য দিকগুলোর দিকে গুরুত্বারোপ করেন, আর যখন শারীরিক সম্পর্ক মূখ্য বিষয় না থাকে, তখন আপনি স্বাধনতা পান এবং আপনার শারীরিক সম্পর্ক আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে, যেখানে একে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য কোন রকম চাপ থাকে না। (কারণ তা হবেও না।) আর তবুও, আমি মনে করি যে কলেজপড়ুয়া হিসেবে যৌনতার দিকে না মনোনিবেশ করা উচিত ছিল, যদিও এটা তখন ছিল না। তাই আমি মনে করি দুজন একসাথে অপেক্ষা করাটাই শ্রেয়।

#৯: আমি যৌনতার চেয়েও প্রশান্তিজনক একটা বিষয়ের খোঁজ পেয়েছিলাম।

আমি জানি যে আপনি ভাবছেন: ‘‘হ্যাঁ, ঠিক আছে।’’ কিন্তু এটাই সত্য। আর প্রকৃতপক্ষে, যৌনতা আমাকে এমন একটি পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে যা এটা থেকে বেশি কিছু। আর সেই পথটি শুধু একটি পথ নয়, এটা হল একজন ব্যক্তি। এই পথ হলেন ঈশ্বর।

শুধু আমার এই কথাটা শুনুন, আমি জানি যে এই বিষয়টি অনেকটাই সূদূরপ্রসারী শোনাচ্ছে, কিন্তু এই পুরো বিষয়টাই একটা গুরু্ত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ঈশ্বর আমাদের এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যাতে আমরা তাঁকে ছাড়া আর কোন কিছুতেই চূড়ান্তভাবে পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারে। তিনি প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই এটা দিয়ে দিয়েছেন। একজন এই বিষয়ে এভাবে বলেছেন,‘‘ প্রতিটি মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের জন্য শূন্যতা রয়েছে যেটা শুধু ঈশ্বরেই পূরণ করতে পারেন।’’

এজন্যই আমরা মানুষের পেশা, সঙ্গী, রীতি, এবং আরও অনেক কিছু পরিবর্তিত হতে দেখি—কারণ চূড়ান্ত পূর্ণতা লাভের জন্য আমরা আমাদের অনুসন্ধানে আমরা যেসব জিনিসগুলি (এবং মানুষ) আমাদের জন্য অর্জন করতে পারে নি সে নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছি। তাই সেগুলো আমরা ত্যাগ করি এবং অন্য কিছু (বা কারও দিকে) মনোনিবেশ করি এই আশায় যে আমরা যে সত্যিকারের পরিতৃপ্তি খুঁজছি সেগুলোর মধ্যে আমরা তা নিশ্চই পাব। কিন্তু এখানে সমস্যা হল যে, যদি আমরা ঈশ্বরের কাছে না আসি তাহলে কখনই সেটা খুঁজে পাই না, কারণ শুধুমাত্র তিনিই এই পরিতৃপ্তি দিতে পারেন।

আমরা যখন ঈশ্বরকে নিয়ে সত্যিকারভাবে পরিতৃপ্তি লাভ করি তখন তিনি আমাদেরকে প্রতি তাঁর চরম ভালবাসা দেখান। তিনি আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালটাই চান আর এই ভাল মানে হল তিনি নিজে। ঈশ্বর থেকে কোন কিছু বা কেউই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি জানি এটাই সত্য কারণ আমি নিজে তা বুঝতে পেরেছি। আমার মধ্যে যে শূন্যতা ছিল—যখন কোন এটা বা ওটা কেনার পর, সহবাস পরিহার করার পর, আমার জীবনে পূর্ণতা লাভের জন্য সকল প্রচেষ্টার পর—সেই শূন্যতার অবসান ঘটল যখন আমি ঈশ্বরকে আমার জীবনে আসার জন্য অনুরোধ করলাম। আরও নির্দিষ্টভাবে বললে যখন আমি যীশু খ্রীষ্টকে আমার জীবনে আসার জন্য অনুরোধ করলাম তখনই এমনটা হল। যীশু খ্রীষ্ট বলেন,‘‘ “আমিই সেই জীবন-রুটি। যে আমার কাছে আসে তার কখনও খিদে পাবে না। যে আমার উপর বিশ্বাস করে তার আর কখনও পিপাসাও পাবে না।’’ (যোহন ৬:৩৫)। এই বাক্য আমার জীবনে সত্যে রূপান্তরিত হল। যখন আমি ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কে প্রবেশ করলাম, তখন ঈশ্বর আমার ভেতরের শূন্যতাকে পূরণ করলেন। আমি আর কখনই শূন্যতা অনুভব করি নি। ক্রমাগতভাবে, ঈশ্বরকে জানার মাধ্যমে আমি যৌনতার থেকে আরও অনেক বেশি গভীর পরিতৃপ্তি লাভ করেছি।

#১০: ঈশ্বর আমাকে অপেক্ষা করার জন্য শক্তি দিয়েছেন।

আমার শেষ সহবাস করার পর অনেক বছর কেটে গেছে। আমি এটা বলতে চাই যে আমি বিয়ের জন্য সম্পূর্ণভাবেই অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আমি তা বলতে পারি না। এজন্য আমার অনেক আফসোস রয়েছে (আর আগে আমি যেমনটা বলেছি, সেই পরিতৃপ্তি আমার ক্ষণিকের পরিতৃপ্তিগুলোর থেকে বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে।)। আমি মেয়েদের সাথে কেমন ব্যবহার করেছি সেটা নিয়ে আমার অনুশোচনা হয়। আমার ভবিষ্যতের বিয়ে নিয়ে অনেক উদ্বেগ আছে (যদি এবং কখন আমি বিয়ে করব)। কিন্তু ঈশ্বর আমার আগের কাজগুলো নিয়ে এবং আমার ভবিষ্যতের উদ্বেগগুলো নিয়ে আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। আমাকে পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার মধ্যে তিনি যুক্ত রয়েছেন, আর ইতোমধ্যেই এটা আমাকে অনেকটাই পরিবর্তন করেছে।

ঈশ্বর আমাকে বিবাহিত জীবনে সহবাসের জন্য অপেক্ষা করার শক্তিও দান করেছেন। নিশ্চিতভাবেই, আমি অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, কিন্তু ঈশ্বর এতটাই মহান যে তিনি আমাকে এগুলোর মধ্য দিয়ে চলতে সাহায্য করেছেন। তাঁর দ্বারা সকল কিছুই সম্ভব। আর প্রতিদিন, সপ্তাহ, এবং বছর চলে যায়, আমি জানি যে একদিন আমি অনেক উৎকৃষ্ট এবং শক্তিশালী দম্পত্য জীবন পাব কারণ আমি এর জন্য অপেক্ষা করেছি। আমি এটাও জানি যে, ঈশ্বরের সাথে আজ আমার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, আর তাঁর উপর নির্ভর করার মাধ্যমে আমার জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে তিনি আমাকে সত্যিকার পুরুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করছেন।

কোথা থেকে শুরু করতে হবে

আপনি যদি কখনও আপনার সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে চান—একজন স্বামী বা পিতা হিসেবে—তাহলে আপনার নিজের বিষয়গুলো নিয়ে শুরু করাটাই সবচেয়ে উত্তম। এখানে উপযুক্ত স্ত্রী খোঁজা, বা উপযুক্ত সন্তানাদি হওয়াটা কোন কৌশল নয়। এখানে মূল বিষয়টি হল আপনাকে আপনার নিজের থেকে শুরু করতে হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে সম্পর্কটি আপনার হতে পারে—যে সম্পর্কটি আপনাকে ভাল একজন স্বামী বা পিতা হিসেবে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করবে সেটি হল—ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক রাখা।

ঈশ্বরই স্বাভাবিক যৌনতা, ভালবাসা এবং সম্পর্কগুলোর স্রষ্টা। তিনি এগুলো আমাদের উপভোগের জন্যই তৈরী করেছেন। আর আমরা তাঁর নকশা অনুযায়ী একগুলোকে সম্পর্ণভাবে উপভোগ করতে পারি। আমি এটা আবিষ্কার করেছি যে ঈশ্বর কোন ‘‘নীতিপ্রকাশক’’ নন। তিনি কখনও কোন কারণ ছাড়াই বলেন না যে,‘‘এটা কর’’ বা ‘‘ওটা কোরো না’’। যখন তিনি বলেন,‘‘এটা করো না’’ (উদাহরণস্বরূপ, সহবাসের জন্য বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা কর), তিনি আমাকে তিনিই যে পরিচালক সেটা বোঝানোর জন্য এটা বলছেন না, তিনি এজন্যই বলছেন যে এতেই আমার সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ আছে। তিনি এটা এজন্যই বলছেন কারণ তিনি জানেন যে তিনি কীভাবে একজন পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন, আর কোনটা আমার জন্য সবচেয়ে ভাল হবে, এবং কোনটি আমাকে বেশি পরিতৃপ্তি দান করবে।

ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরকে জানা

বাইবেল বলে যে যীশু খ্রীষ্টই ঈশ্বর ছিলেন যিনি মানুষরূপে এসেছিলেন—‘‘ সেই বাক্যই মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বাস করলেন।’’ তিনি ‘‘তাঁর নিজের(ঈশ্বত্বের) সম্পূর্ণ প্রকাশ ছিলেন’’। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ঈশ্বর কেমন তা যীশু খ্রীষ্ট সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করেছেন। তাহলে কীভাবে আমরা তাঁর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করব?

আমাদের প্রতি ঈশ্বরের ভালবাসা খাঁটি এবং তিনি চান যেন আমরা তাঁকে জানি... কিন্তু এখানে একটি সমস্যা আছে। বর্তমানে, ঈশ্বর এবং আমাদের মধ্যে যেটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা হল আমাদের পাপ ( ঈশ্বরকে আমাদের ভালবাসাতে না পারার ব্যর্থতা এবং অন্যান্য নিখুঁত বিষয়গুলো)।

তাই যীশু খ্রীষ্ট (‘‘মাংসে মূর্তিমান ঈশ্বর’’) আমাদের সকল পাপ তাঁর নিজের কাঁধে তুলে নিলেন এবং স্বেচ্ছায় ক্রুশে মৃত্যুবরণ করলেন। তিনি এটা করলেন যেন আমরা সম্পূর্ণভাবে পাপের ক্ষমা পাই, তাঁর কাছে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠি। তিনি আমাদের পরিবর্তে আঘাত, অপদস্থিত, বেত্রাঘাত এবং ক্রুশের যন্ত্রণা সহ্য করে তাঁর মহান আত্নত্যাগের প্রকাশ করেছেন। পরবর্তীতে, তিন দিন পর, তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হলেন। এখন তিনি চান যেন আমরা তাঁকে আমাদের জীবনে আসার অনুরোধ করে তাঁর এই মহান ত্যাগের প্রতি সাড়াদান করি।

যীশু খ্রীষ্টই ছিলেন সর্বকালের সেরা পুরুষ। মানুষ প্রায়ই তাঁকে এই বিষয়ে কৃতিত্ব দেয় না, কিন্তু এটা সত্য। তাহলে, কখন আপনি তাঁকে আপনার জীবনে আসার জন্য অনুরোধ করবেন, আপনি এমন একজনকে অনুরোধ করছেন যিনি পুরুষত্ব সম্পর্কে আপনার থেকে এবং অন্য সব মানুষের থেকে অনেক বেশি জানেন। তিনি আপনাকে সত্যিকারের একজন মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করবেন—এটা হলিউডের কোন সংস্করণের মত নয়—কিন্তু এমন একজন যিনি জীবনে অনেকটা পূর্ণতা লাভ করেছেন এবং অন্যদের জীবনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

একজন সত্যিকারের পুরুষ কেমন হয়? তাকে কখনই একটা নেকড়ের মত দেখায় না (এমন কেউ যে শুধু নিজের সুবিধাই দেখে)। এর পরিবর্তে, সে একজন মেষপালকের মত—যে অন্যের ভাল করার চিন্তা করে। যখন আমি খ্রীষ্টের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে বৃদ্ধি পাবেন, তখন আপনি এটা আরও বেশি আবিষ্কার করতে থাকবেন যে একজন সত্যিকারের পুরুষ কেমন হয়। আর খ্রীষ্ট মহিলাদের সম্পর্কে আপনার চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন এবং আপনি তাদের সাথে কেমন ব্যবহার করেন সেই ধরণের পরিবর্তন ঘটাবেন।

আপনি খ্রীষ্টের সাথে চিরস্থায়ী একটি সম্পর্ক শুরু করতে পারেন। ‘‘ঈশ্বর মানুষকে এত ভালবাসলেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে তিনি দান করলেন, যেন যে কেউ সেই পুত্রের উপরে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।’’ (যোহন ৩:১৬)। আস্থা মানে হল বিশ্বাস। যখন আপনি এটা বিশ্বাস করবেন যে খ্রীষ্ট আপনার পরিবর্তে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, তখনই আপনি অনন্ত জীবন পেতে পাবেন—ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কের শুরু এখনই, যেটা আপনি সারাজীবনই চালিয়ে যাবেন। যদি এটাই আপনার অন্তরের আকাঙ্খা হয়, তাহলে আপনি ঈশ্বরের কাছে আন্তরিকতার সাথে নিচে একটি পরামর্শমূলক প্রার্থনাটি করতে পারেন:

হে ঈশ্বর, আমি তোমার বিরুদ্ধে যে পাপ করেছি তা আমি স্বীকার করছি। আমার সকল পাপ নিজের ওপর তুলে নিয়ে ক্রুশে মৃত্যুবরণ করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি তোমার ক্ষমা পেতে চাই। আমি তোমার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। আমি তোমাকে আমার জীবনের ত্রাণকর্তা এবং প্রভু হিসেবে আসার জন্য অনুরোধ করছি। তুমি আমাকে যেমন পুরুষ হিসেবে দেখতে চাও দয়া করে সেভাবেই আমাকে তৈরী কর।

 আমি এই মাত্রই যীশুকে আমার হৃদয়ে গ্রহণ করেছি (কিছু সাহায্যকারী অনুসরণকারী তথ্য)…
 আমি যীশুকে আমার অন্তরে গ্রহণ করতে চাই, দয়া করে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিন…
 আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে…

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More