অন্যান্যরা নিশ্চিত ছিলেন যে যীশুই ঈশ্বর ছিলেন:
পৌল: ‘‘খ্রীষ্টই হলেন অদৃশ্য ঈশ্বরের হুবহু প্রকাশ।’’১
যোহন: ‘‘প্রথমেই তিনি ঈশ্বরের সংগে ছিলেন।’’২
পিতর: ‘‘খ্রীষ্টকে তোমাদের অন্তরে প্রভু হিসাবে স্থান দাও।’’৩
কিন্তু যীশু নিজের সম্বন্ধে কী বলেছিলেন?
তিনি কি নিজেকে কখনও ঈশ্বর হিসেবে প্রকাশ করেছেন? বাইবেল অনুসারে... অবশ্যই তিনি করেছেন! বাইবেলে তাঁর দেয়া কয়েকটি উদ্বৃতি নিচে উল্লেখ করা হল।
যীশু বলেছেন তিনি অব্রাহামের আগে থেকেই ছিলেন
‘‘আপনাদের পিতা অব্রাহাম আমারই দিন দেখবার আশায় আনন্দ করেছিলেন। তিনি তা দেখেছিলেন আর খুশীও হয়েছিলেন।”
যিহূদী নেতারা যীশুকে বললেন, “তোমার বয়স এখনও পঞ্চাশ বছর হয় নি, আর তুমি কি অব্রাহামকে দেখেছ?”
যীশু তাঁদের বললেন, “আমি আপনাদের সত্যি বলছি, অব্রাহাম জন্মগ্রহণ করবার আগে থেকেই আমি আছি।”৪
যীশু বলেছেন তাঁকে দেখা মানেই ঈশ্বরকে দেখা
পরে যীশু জোরে জোরে বললেন, “যে আমার উপরে বিশ্বাস করে সে যে কেবল আমার উপরে বিশ্বাস করে তা নয়, কিন্তু যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর উপরেও বিশ্বাস করে।যে আমাকে দেখে, যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন সে তাঁকেই দেখে।আমি এই জগতে আলো হিসাবে এসেছি যেন আমার উপরে যে বিশ্বাস করে সে অন্ধকারে না থাকে।’’৫
তোমরা যদি আমাকে জানতে তবে আমার পিতাকেও জানতে। এখন তোমরা তাঁকে জেনেছ আর তাঁকে দেখতেও পেয়েছ।”
ফিলিপ যীশুকে বললেন, “প্রভু, পিতাকে আমাদের দেখান, তাতেই আমরা সন্তুষ্ট হব।”
যীশু তাঁকে বললেন, “ফিলিপ, এতদিন আমি তোমাদের সংগে সংগে আছি, তবুও কি তুমি আমাকে জানতে পার নি? যে আমাকে দেখেছে সে পিতাকেও দেখেছে। তুমি কেমন করে বলছ, ‘পিতাকে আমাদের দেখান’? তুমি কি বিশ্বাস কর না যে, আমি পিতার মধ্যে আছি আর পিতা আমার মধ্যে আছেন?’’৬
যীশু বলেছেন তিনি পাপকে ক্ষমা করতে পারেন
‘‘ কিন্তু আপনারা যেন জানতে পারেন পৃথিবীতে পাপ ক্ষমা করবার ক্ষমতা মনুষ্যপুত্রের আছে”-- এই পর্যন্ত বলে তিনি সেই অবশ-রোগীকে বললেন,“আমি তোমাকে বলছি, ওঠো, তোমার মাদুর তুলে নিয়ে বাড়ী চলে যাও।”তখনই সেই লোকটি উঠে তার মাদুর তুলে নিল এবং সকলের সামনেই বাইরে চলে গেল। এতে সবাই আশ্চর্য হয়ে ঈশ্বরের গৌরব করে বলল, “আমরা কখনও এই রকম দেখি নি।”৭
তাই আমি আপনাদের বলেছি, আপনারা আপনাদের পাপের মধ্যে মরবেন। যদি আপনারা বিশ্বাস না করেন যে, আমিই সেই, তবে আপনাদের পাপের মধ্যেই আপনারা মরবেন।”৮
যীশু বলেছেন তিনিই বিচারক এবং তিনিই অনন্তজীবন দিতে পারেন
‘‘পিতা যেমন মৃতদের জীবন দিয়ে উঠান ঠিক তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন।পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার পুত্রকে দিয়েছেন,যেন পিতাকে যেমন সবাই সম্মান করে তেমনি পুত্রকেও সম্মান করে। পুত্রকে যে সম্মান করে না, যিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন সেই পিতাকেও সে সম্মান করে না।’’৯
যীশু মার্থাকে বললেন, “আমিই পুনরুত্থান ও জীবন। যে আমার উপর বিশ্বাস করে সে মরলেও জীবিত হবে।’’১০
‘‘আমার মেষগুলো আমার ডাক শোনে। আমি তাদের জানি আর তারা আমার পিছনে পিছনে চলে।আমি তাদের অনন্ত জীবন দিই। তারা কখনও বিনষ্ট হবে না এবং কেউই আমার হাত থেকে তাদের কেড়ে নেবে না।’’১১
‘‘আমার পিতার ইচ্ছা এই-আপনাদের মধ্যে যাঁরা পুত্রকে দেখে তাঁর উপর বিশ্বাস করেন তাঁরা যেন অনন্ত জীবন পান। আর আমিই তাঁদের শেষ দিনে জীবিত করে তুলব।”১২
যীশু বলেছেন তিনি হুবহু ঈশ্বরের মতোই
‘‘আমি আর পিতা এক।”
তখন যিহূদী নেতারা তাঁকে মারবার জন্য আবার পাথর কুড়িয়ে নিলেন।যীশু তাঁদের বললেন, “পিতার আদেশ মত অনেক ভাল ভাল কাজ আমি আপনাদের দেখিয়েছি। সেগুলোর মধ্যে কোন্ কাজের জন্য আপনারা আমাকে পাথর মারতে চান?”
নেতারা উত্তরে বললেন, “ভাল কাজের জন্য আমরা তোমাকে পাথর মারি না, কিন্তু তুমি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপমানের কথা বলছ বলেই মারি। মানুষ হয়েও তুমি নিজেকে ঈশ্বর বলে দাবি করছ।”১৩
“আমিই সেই জীবন-রুটি’’
যীশু তাদের বললেন, “আমিই সেই জীবন-রুটি। যে আমার কাছে আসে তার কখনও খিদে পাবে না। যে আমার উপর বিশ্বাস করে তার আর কখনও পিপাসাও পাবে না।’’১৫
“আমিই পথ, সত্য আর জীবন’’
যীশু থোমাকে বললেন, ‘‘আমিই পথ, সত্য আর জীবন। আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে যেতে পারে না।’’১৬
‘‘আপনারা সত্যকে জানতে পারবেন’’
“আমার কথামত যদি আপনারা চলেন তবে সত্যিই আপনারা আমার শিষ্য।তা ছাড়া আপনারা সত্যকে জানতে পারবেন, আর সেই সত্যই আপনাদের মুক্ত করবে।”১৭
‘‘জীবন যেন পরিপূর্ণ হয়’’
‘‘আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায়, আর সেই জীবন যেন পরিপূর্ণ হয়।’’ আমার মেষগুলো আমার ডাক শোনে। আমি তাদের জানি আর তারা আমার পিছনে পিছনে চলে।আমি তাদের অনন্ত জীবন দিই। তারা কখনও বিনষ্ট হবে না এবং কেউই আমার হাত থেকে তাদের কেড়ে নেবে না।১৮
‘‘আমিও তাকে ভালবাসব’’
‘‘... যে আমাকে ভালবাসে আমার পিতা তাকে ভালবাসবেন। আমিও তাকে ভালবাসব আর তার কাছে নিজেকে প্রকাশ করব... যদি কেউ আমাকে ভালবাসে তবে সে আমার কথার বাধ্য হয়ে চলবে। আমার পিতা তাকে ভালবাসবেন এবং আমরা তার কাছে আসব আর তার সংগে বাস করব ।”১৯
‘‘সব সময় আমি তোমাদের সংগে সংগে আছি’’
‘‘দেখ, যুগের শেষ পর্যন্ত সব সময় আমি তোমাদের সংগে সংগে আছি।”২০
যীশুই যে ঈশ্বর তা নিয়ে আপনার কি এখনও কোন সন্দেহ আছে? এই প্রবন্ধে যে প্রমাণ দেওয়া হয়েছে দয়া করে তা দেখুন: অন্ধবিশ্বাসের উপরে।
► | কিভাবে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক শুরু করেন |
► | আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে… |
পাদটীকাসমূহ: (১) ১ম কলসীয় ১:১৫ (২) যোহন ১:২ (৩) ১ম পিতর ৩:১৫ (৪) যোহন ৮:৫৬-৫৮ (৫) যোহন ১২:৪৪-৪৬ (৬) যোহন ১৪:৬-৯ (৭) মথি ৯:৬-৮ (৮) যোহন ৮:২৩,২৪ (৯) যোহন ৫:২১-২৩ (১০) যোহন ১১:২৫ (১১) যোহন ১০:২৭,২৮ (১২) যোহন ১০:৩০-৩৩ (১৪) যোহন ৬:৩৫ (১৫) যোহন ১৪:৬ (১৬) যোহন ৮:১২ (১৭) যোহন ৮:৩১,৩২ (১৮) যোহন ১০:১০,২৭,২৮ (১৯) যোহন ১৪:২১ (২০) মথি ২৮:২০