×
অনুসন্ধান
EveryBengaliStudent.com
জীবন এবং ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্নগুলি
 আবিস্কার করার জন্য নিরাপদ স্থান
জীবনের প্রশ্নগুলি

দুঃখের সময়ে ঈশ্বর কোথায় থাকে?

কখনো কি জিজ্ঞাসা করেছেন, “ঈশ্বর তুমি কোথায়?” আপনি ঠিক কিসের জন্য ঈশ্বরের উপর নির্ভর করতে পারেন?

WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More PDF

মারলিন এডামসন এর লেখা

আমরা আমাদের সাহায্যে জন্য ঠিক কতটুকু পরিমানে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করতে পারি? তিনি কি সত্যিই এমন কেউ যার কাছে আমরা অদৌ ফিরে আসতে পারি ... আমাদের সমস্যার সময়েও আবার আমাদের শান্তির সময়েও?

ঈশ্বর কে?

ঈশ্বর হলেন এই বিশ্বের সৃষ্টিকর্তা যিনি চান যেন আমরা তাঁকে জানতে পারি। এই কারণেই আমরা সবাই এখানে আছি। এটি তাঁর ইচ্ছা যেন আমরা তাঁর উপর নির্ভর করি এবং তাঁর শক্তি, ভালবাসা, ন্যায্যতা, পবিত্রতা এবং সহানুভূতি অনুভব করতে পারি। তাই তিনি সবাইকে বলেছেন, “আমার কাছে এস।”

আমরা পারি না, কিন্তু আগামিকাল, আগামি সপ্তাহ, আগামি বছর, পরের বছর, পরের দশ বছরে কি ঘটতে যাচ্ছে তা ঈশ্বর জানেন। তিনি বলেন, “আমিই ঈশ্বর, অন্য আর কেউ নয়; আমিই ঈশ্বর, আমার মত আর কেউ নেই।”1 তিনি জানেন পৃথিবীতে কি ঘটতে যাচ্ছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি জানেন আপনার জীবনে কি ঘটতে যাচ্ছে এবং কি করা যেতে পারে যদি আপনি তাঁকে আপনার জীবনে অর্ন্তভুক্ত করেন। তিনি আমাদের বলেছেন যে তিনি হতে পারেন “আমাদের আশ্রয়স্থান ও শক্তি; বিপদের সময় সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত থাকেন।”2 কিন্তু আমাদেরকে সমস্ত অন্তকরণ দিয়ে তাঁকে খুঁজতে হবে। তিনি বলেছেন, “যখন তোমরা আমাকে গভীরভাবে জানতে আগ্রহী হবে তখন আমাকে জানতে পাবে।”3

কঠিন সময়ে ঈশ্বর কোথায় থাকেন?

এর অর্থ এই নয় যে যারা ঈশ্বরকে জানেন তারা কঠিন সময়গুলো এড়িয়ে যেতে পারবেন। তা কখনোই হবে না। যখন কোন জঙ্গি হামলা ঘটে এবং তার ফলে যে দুর্ভোগ ও মৃত্যু নেমে আসে সেখানে যারা ঈশ্বরকে জানে সেই লোকদেরকেও যন্ত্রনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু ঈশ্বরের উপস্থিতি একটি শান্তি ও শক্তি নিয়ে আসে। খ্রীষ্টের একজন অনুসারী এভাবে বলেছেন: “সবদিক থেকেই আমাদের উপর চাপ পড়ছে, তবু আমরা ভেঙ্গে পড়ছি না। বুদ্ধিহারা হলেও আমরা সম্পূর্ণ হতাশ হয়ে পড়ছি না। অত্যাচারিত হলেও ঈশ্বর আমাদের ত্যাগ করছেন না, মাটিতে আছড়ে ফেললেও আমরা ধ্বংস হচ্ছি না।” বাস্তবতা আমাদেরকে শিখায় যে আমরা আমাদের জীবনে সমস্যার সম্মূখিন হব। যাইহোক, যদি ঈশ্বরকে জানার মধ্যে দিয়ে আমরা সমস্যাগুলোর সম্মুখিন হই তাহলে সেগুলোর প্রতি আমরা একটি ভিন্ন ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতে পারব এবং এমন একটি শক্তি আমাদের থাকবে যা আমাদের নিজেদের নয়। কোন সমস্যারই এই ক্ষমতা নেই যে সে ঈশ্বরের সামনে স্থির হয়ে থাকতে পারে। যে সমস্যা আমাদের আঘাত করতে পারে তার থেকেই তিনি মহান এবং তিনি কখনই আমাদেরকে একা ছেড়ে দেন না।

ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে বলে যে, “সদাপ্রভু মঙ্গলময়, কষ্টের সময়ের আশ্রয়স্থান। যারা তাঁর মধ্যে আশ্রয় নেয় তিনি তাদের দেখাশোনা করেন।”5 এবং “যারা সদাপ্রভুকে ডাকে, অন্তর দিয়ে ডাকে, তিনি তাদের কাছেই থাকেন। যারা তাঁকে ভক্তিপূর্ণ ভয় করে তাদের মনের ইচ্ছা তিনি পূরণ করেন; সাহায্যের জন্য তাদের কান্না শুনে তিনি তাদের রক্ষা করেন।”6

যীশু খ্রীষ্ট তাঁর অনুসারীদের এই সহানুভূতির বাক্য বলেছেন: “দুইটা চড়াই পাখী কি সামান্য দামে বিক্রি হয় না? তবুও তোমাদের পিতা ঈশ্বরের অনুমতি ছাড়া তাদের একটাও মাটিতে পড়ে না; এমন কি, তোমাদের মাথার চুলগুলোও গোণা আছে। কাজেই তোমরা ভয় পেয় না। অনেক চড়াই পাখীর চেয়েও তোমাদের মূল্য অনেক বেশি।”7 আপনি যদি সত্যিই ঈশ্বরের দিকে ফিরে আসেন, তাহলে তিনি এমনভাবে আপনার যত্ন নেবেন যা অন্য কেউ করেনি এমনকি কেউ করতেও পারবে না।

ঈশ্বর এবং আমাদের স্বাধীন ইচ্ছা

ঈশ্বর মানুষকে পছন্দ করার ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এর অর্থ এই যে তাঁর সাথে সম্পর্ক তৈরীতে তিনি কখনোই আমাদেরকে জোর করেন না। তাঁকে অস্বীকার করা এবং আরো অন্যান্য মন্দ কাজ করাকে তিনি অনুমোদন দেন। তিনি চাইলে তাঁকে ভালবাসতে আমাদেরকে জোর করতে পারেন। তিনি আমাদেরকে ভাল হওয়ার জ্ন্য জোর করতে পারেন। কিন্তু তাহলে তাঁর সাথে কোন ধরনের সম্পর্ক তৈরী হবে? এটা আসলে কোন সম্পর্কই হবে না, এটা হবে জোর করা, একেবারে নিয়ন্ত্রিত বাধ্যতা। কিন্তু এর পরিবর্তে তিনি আমাদেরকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়ে সম্মানিত করেছেন।

স্বাভাবিকভাবে, আমরা আমাদের হৃদয় গভীর থেকে কান্না করে থাকি... “কিন্তু প্রভু, কিভাবে তুমি এই রকম বড় একটা ঘটনা ঘটতে দিলে?”

আমরা কি চাই ঈশ্বর কিভাবে কাজ করবেন? আমরা কি চাই যেন তিনি লোকদের কাজ নিয়ন্ত্রণ করুন? জঙ্গি হামলার ক্ষেত্রে, মৃত্যুর সংখ্যা সম্ভাব্য কত হলে ঈশ্বরের অনুমতি হতে পারে?! আমরা কি সেটাতে শান্তি অনুভব করব যদি ঈশ্বর শুধুমাত্র একশ জন লোককে মারার অনুমতি দেন? যদি একজন লোক মরার অনুমতি দেন তাহলে কি ঠিক হবে? এমনকি যদি ঈশ্বর একজন ব্যক্তিকেও মরতে না দেন তবুও সেখানে পছন্দ করার কোন স্বাধীনতা নেই। মানুষ ঈশ্বরকে অগ্রাহ্য করতে, তাঁর অবাধ্য হতে, তাদের নিজেদের পথে চলতে এবং অন্যর বিরুদ্ধে ভয়ানক কাজ করতে পছন্দ করল।

এই পৃথিবী নিরাপদ স্থান নয়। যে কেউ আমাদের গুলি করে দিতে পারে। অথবা হয়তো কোন গাড়ি আমাদের আঘাত করতে পারে। হয়তো জঙ্গি হামলার জন্য হয়তো আমাদেরকে বিল্ডিং-এর ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে হতে পারে। অথবা পৃথিবী নামক এই স্থানে যে কোন কিছুই আমাদের জীবনে ঘটতে পারে যেখানে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করা হয় না। তবুও, Yet, God is not at the mercy of people, but the other way around. সৌভাগ্যক্রমে আমরা তাঁর দয়ার মধ্যে আছি। এই ঈশ্বর যিনি শুধুমাত্র তাঁর মুখের কথাতে এই অগনিত তারা দিয়ে এই বিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন “আকাশের মধ্যে আলো দেয় এমন সব কিছু দেখা দিক।”8 এই ঈশ্বরই যিনি বলেছেন “আমি সব জাতির উপর রাজত্ব করি।”9 প্রজ্ঞায় ও শক্তিতে তিনি অসীম। যদিও আমাদের কাছে সমস্যাগুলোর সমাধান অসম্ভব বলে মনে হয়, কিন্তু আমাদের এমন একজন ঈশ্বর আছেন যিনি এই কাজ করতে সমর্থ এবং তিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, “আমি সদাপ্রভু, সমস্ত মানুষের ঈশ্বর। কোন কিছু করা কি আমার পক্ষে অসম্ভব?”10 যে কোন ভোবে তিনি পাপী মানুষদেরকে মুক্ত করতে সমর্থ, আর এটাই তাঁর ইচ্ছা। ঈশ্বর স্পষ্টভাবে বলেন যে, “আমি যা বলেছি তা আমি সফল করব এবং যা পরিকল্পনা করেছি তা করব।”11 এবং যদি আমাদের জীবন তাঁর কাছে সমর্পিত থাকে তাহলে আমি শান্তনা পেতে পারি। “ঈশ্বর অহংকারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান, কিন্তু নম্রদের দয়া করেন।”12

যখন আমরা তাঁকে পরিত্যাগ করি তখন ঈশ্বর কোথায় থাকেন?

আমাদের অনেকেই -- না, আমাদের সবাই – সময় অনুসারে ঈশ্বর ও তাঁর পথে চলতে পছন্দ করি। অন্যদের সাথে তুলনা করলে, বিশেষ করে যদি একজন জঙ্গির সাথে তুলনা করা হয় তাহলে আমরা নিজেদেরকে শ্রদ্ধার ও ভালবাসার লোক হিসাবে বিবেচনা করে থাকি। কিন্তু আমাদের হৃদয়ের সততার দিকে বিবেচনা করলে, যদি আমরা ঈশ্বরের সামনে দাঁড়াই তাহলে তা আমাদের পাপের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। যখন আমরা প্রার্থনায় ঈশ্বরের কাছে আসি তখন কি আমরা এই বিষয়ের জন্য নিজেদের ছোট মনে করতে শুরু করি যে ঈশ্বর আমাদের চিন্তাগুলো, কাজ এবং আত্ম-কেন্দ্রিকতাগুলোকে ভাল করে জানেন? আমরা...আমাদের জীবন ও কাজ দ্বারা ঈশ্বরের কাছ থেকে দুরে সরে গিয়েছি। আমরা প্রায়শই এমন জীবন যাপন করি যে মনে হয় আমরা তাঁকে ছাড়াই বাঁচতে পারি। বাইবেল আমাদের বলে যে, “আমরা সবাই ভেড়ার মত করে বিপথে গিয়েছি; আমরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের পথের দিকে ফিরেছি।”13

ফলাফলটা কি? আমাদের পাপ আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছ থেকে আলাদা করে ফেলেছে, এবং এই জীবনে এর প্রভাব অনেক বেশি। আমরা যে পাপ করেছি তার ফল হল মৃত্যু, অথবা ঈশ্বরের কাছ থেকে অনন্তকালীন সময়ের জন্য আলাদা হয়ে পড়া। যাইহোক, আমরা যেন তাঁকে জানতে পারি ও ক্ষমা লাভ করতে পারি তার জন্য তিনি একটি সুযোগ বা পথ সরবরাহ করেছেন।

ঈশ্বর আমাদেরকে তাঁর ভালবাসা দিয়েছেন

ঈশ্বর আমাদেরকে রক্ষা করার জন্য এই দুনিয়ায় এসেছেন। “ঈশ্বর মানুষকে এত ভালবাসলেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে তিনি দান করলেন, যেন যে কেউ সেই পুত্রের উপরে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। ঈশ্বর মানুষকে দোষী প্রমান করবার জন্য তাঁর পুত্রকে জগতে পাঠান নি, বরং মানুষ যেন পুত্রের দ্বারা পাপ থেকে উদ্ধার পায় সেইজন্য তিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন।”14

আমরা এই জগতে যে যন্ত্রনা ও দুঃখের সম্মুখীন হই তা ঈশ্বর জানেন। যীশু তাঁর নিজের সুরক্ষিত ও নিরাপত্তার বাসস্থান ছেড়ে এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে প্রবেশ করলেন যেখানে আমরা বাস করি। যীশু ক্লান্ত হয়েছেন, তিনি পিপাসা ও ক্ষুধা জানতেন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার ও অন্যান্যদের দ্বারা তিনি ঘৃনিত হয়েছেন। কিন্তু আমরা প্রত্যেকদিন যে কঠিনতম জীবন যাপন করি তিনি তার থেকেও বেশি তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। যীশু, মনুষ্যরুপে ঈশ্বরের সন্তান, স্বইচছায় নিজের কাধে আমাদের সমস্ত পাপ তুলে নিলেন এবং মূল্য হিসাবে মৃত্যুবরণ করলেন। “খ্রীষ্ট আমাদের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন, তাই ভালবাসা কি তা আমরা জানতে পেরেছি।”১৫ তিনি যন্ত্রনার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করেছেন, ক্রুশের উপর লজ্জাজনক মৃত্যু সহ্য করেছেন, যাতে আমরা আমাদের পাপের ক্ষমা পাই।

যীশু তাঁর শিষ্যদের পুর্বেই বলেছিলেন যে তিনি ক্রুশোরোপিত হতে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন যে তাঁর মৃত্যুর তিনদিন পর তিনি পূনরায় আবার জীবিত হয়ে উঠবেন, এবং প্রমান করবেন যে তিনিই ঈশ্বর। তিনি বলেন নাই যে তিনি কোন একদিন পূর্নজন্ম গ্রহন করবেন। (তিনি আসলে এটি করতে যাচ্ছেন কিনা এটা কে জানতো?) তিনি বলেছেন যে তাঁর কবরপ্রাপ্ত হওয়ার তিন দিন পর তিনি নিজেকে শারীরিকভাবে জীবিত দেখাবেন তাদের কাছে যারা তাঁর ক্রুশারোপন দেখেছেন। সেই তৃতীয় দিনে, যীশুর কবর খালি পাওয়া গিয়েছিল এবং অনেক লোক যে তাঁকে দেখতে পেয়েছেন সেই সাক্ষ্য তারা দিয়েছেন।

ঈশ্বর আমাদের আমন্ত্রন করেছেন যেন স্বর্গে আমরা তাঁর সাথে থাকতে পারি

এখন তিনি আমাদের অনন্ত জীবন প্রদান করছেন। আমরা এই অনন্তজীবন অর্জন করতে পারি না। এটি ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া একটি উপহার, এবং তখনই আমরা এটা পাই যখন আমরা তাঁকে আমাদের জীবনে গ্রহন করি। “ঈশ্বর যা দান করেন তা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে অনন্ত জীবন।”১৬ যদি আমরা আমাদের পাপ থেকে অনুতাপ করি ও ঈশ্বরের দিকে ফিরি, তাহলে যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে আমরা অনন্ত জীবন উপহার পেতে পারি। এটা খুবই সহজ। “ঈশ্বরের পুত্রকে যে পেয়েছে সে সেই জীবনও পেয়েছে; কিন্তু ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নি সে সেই জীবনও পায়নি।”১৭ তিনি আমাদের জীবনে প্রবেশ করতে চান।

স্বর্গ কি? বাইবেল বলে যে ঈশ্বর “মানুষের অন্তরে অনন্তকাল সম্বন্ধে বুঝবার ইচ্ছা দিয়েছেন।”১৮ হয়তো এর অর্থ আমরা জানি যে, আমাদের অন্তরে সেই উত্তর পৃথিবী কেমন হতে পারে। যখন মানুষের মৃত্যু হয় তখন আমর এটা বুঝি যে এই জগত ও জীবনে বড় কোন কিছু একটা ভুল রয়েছে। আমাদের হৃদয় গভীরে আমরা এটা বুঝতে পারি যে হয়তো এই যন্ত্রনা, সমস্যা বা কষ্টকর জীবন থেকেও আরো একটি ভাল জীবন রয়েছে। এবং এটা নিশ্চিত যে ঈশ্বরের একটি সুন্দর স্থান রয়েছে যেখানে তিনি আমাদের নিতে চান। এটা একটি ভিন্ন সিস্টেমের হবে যেখানে সবসময় ঈশ্বরের যে ইচ্ছা সেটাই বাস্তবায়ন হবে। তিনি তাদের চোখের জল মুছে দিবেন। মৃত্যু আর হবে না; দুঃখ, কান্না ও ব্যথা আর থাকবে না।১৯ এবং ঈশ্বর তাঁর আত্মার মধ্যে দিয়ে মানুষের অন্তরে এমনভাবে বাস করবেন যে সেখানে আর কোন পাপ থাকবে না।২০

জঙ্গি হামলার ঘটনা খুবই মর্মান্তিক হয়। যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে ঈশ্বর যে অনন্ত জীবন দান করেন তা প্রত্যাখ্যান করা জঙ্গি হামলার মর্মান্তিকের চেয়েও বেশি ভয়াবহ। শুধুমাত্র অনন্তজীবন নয় বরং এই জীবনে আর কোন সম্পর্ক নেই যা ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্কের চেয়ে বড় হতে পারে। তিনিই আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য, আমাদের সান্তনার উৎস, দ্বিধাদ্বন্দ্বের সময়ে তিনিই আমাদের প্রজ্ঞা, আমাদের শক্তি ও আশা। “স্বাদ নিয়ে দেখ সদাপ্রভু মঙ্গলময়; ধন্য সেই লোক, যে তাঁর মধ্যে আশ্রয় নেয়।”21

কেউ একজন বলেছেন যে খোঁড়ার হাতের লাঠির মত। কিন্তু এটা মনে হচ্ছে যে তিনিই একমাত্র নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি।

যীশু বলেছেন, “আমি তোমাদের জন্য শান্তি রেখে যাচ্ছি, আমারই শান্তি আমি তোমাদের দিচ্ছি; জগত যেভাবে দেয় আমি সেইভাবে দিই না। তোমাদের মন যেন অস্থির না হয় এবং মনে ভয়ও না থাকে।”২২ যারা যীশুর উপরে নির্ভর করে বলা হয়েছে তারা পাথরের উপরে তৈরী ঘরের মত। যতই সমস্যা আসুন না কেন তিনি আপনাকে শক্তভাবে দাড়িয়ে থাকতে সাহায্য করবেন।

ঈশ্বর কোথায়? তিনি আপনার জীবনে আসতে পারেন

আপনি এখনই আপনার জীবনে যীশুকে গ্রহন করতে পারেন। “তবে যতজন তাঁর উপর বিশ্বাস করে তাঁকে গ্রহন করল তাদের প্রত্যেককে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দিলেন।”23 যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়েই আমরা ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসতে পারি। যীশু বলেছেন, “আমিই পথ, সত্য ও জীবন; আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে যেতে পারে না।”24 যীশু এই কথা বলেছেন, “দেখ, আমি দরজায় দাড়িয়ে আছি এবং আঘাত করছি; যদি কেউ আমার গলার স্বর শুনে এবং দরজা খুলে দেয়, তাহলে আমি তার অন্তরে আসবো।”25

এখনই আপনি ঈশ্বরকে আপনার জীবনে আসতে বলতে পারেন। আপনি এই কাজটি একটি প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে করতে পারেন। প্রার্থনা হচ্ছে ঈশ্বরের সাথে কথা বলা। এখনই আপনি এই কথাগুলো বলে ঈশ্বরকে আপনার জীবনে ডাকতে পারেনঃ

“ঈশ্বর, আমি তোমার কাছ থেকে আমার হৃদয়কে সরিয়ে নিয়েছিলাম কিন্তু এখন আমি তা পরিবর্তন করতে চাই। আমি তোমাকে জানতে চাই। আমি যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহন করতে ও তাঁর ক্ষমা আমার জীবনের গ্রহন করতে চাই। আমি আর কখনোই তোমার কাছ থেকে আলাদা হয়ে পড়তে চাই না। আজকে থেকে তুমি আমার জীবনের ঈশ্বর হও। ঈশ্বর তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।”

আপনি কি এখনই আপনার জীবনে ঈশ্বরকে আন্তরিকতার সাথে আসতে বলেছেন? যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে এখন আপনার অনেককিছু জানতে হবে। ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যেন তাঁকে জানার মধ্য দিয়ে আপনার বর্তমান জীবন আরো সন্তোষজনক হয়ে উঠে।২৬ ঈশ্বর কোথায়? তিনি আপনার মধ্যে তাঁর বাসস্থান তৈরীর প্রতিজ্ঞা করেছেন।২৭ এবং তিনি আপনাকে অনন্ত জীবন দিবেন।২৮

আপনার চারিপাশে কি ঘটতে সেটা কোন বিষয় নয়, ঈশ্বর সেখানে আপনার জন্য আছেন। যদিও লোকেরা ঈশ্বরের পথ অনুসরন করে না, কিন্তু ঈশ্বর যে কোনভাবেই হোক না কেন তাঁর পরিকল্পনা নিয়ে আসতে এবং ভয়াবহ অবস্থা তৈরী করতে তিনি সমর্থ। সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রন ঈশ্বরের হাতে। যদি আপনি ঈশ্বরের হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি তাঁর এই প্রতিজ্ঞায় নির্ভর করতে পারেন, “যারা ঈশ্বরকে ভালবাসে, অর্থাৎ ঈশ্বর নিজের উদ্দেশ্যমত যাদের ডেকেছেন তাদের মঙ্গলের জন্য সবকিছুই একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।”29

যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, “আমারই শান্তি আমি তোমাদের দিচ্ছি; জগত যেভাবে দেয় আমি সেইভাবে দিই না। তোমাদের মন যেন অস্থির না হয় এবঙ মনে ভয়ও না থাকে।; আমিই জগতকে জয় করেছি।”30 তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন যে কখনও তিনি আমাকে ছাড়বেন না বা ত্যাগ করবেন না।31

 আমি এই মাত্রই যীশুকে আমার হৃদয়ে গ্রহণ করেছি (কিছু সাহায্যকারী অনুসরণকারী তথ্য)…
 আমি যীশুকে আমার অন্তরে গ্রহণ করতে চাই, দয়া করে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিন…
 আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে…

পাদটিকাঃ (1) যিশাইয় 46:9 (2) গীত 46:1 (3) যিরমিয় 29:13 (4) ২ করিন্থিয় 4:8-9 (5) নহূম 1:7 (6) গীত 145:18-19 (7) মথি 10:29-31 (8) আদিপুস্তক 1:14 (9) গীত 47:8 (10) যিরমিয় 32:27 (11) যিশাইয় 46:11 (12) যাকোব 4:6 (13) যিশাইয় 53:6 (14) যোহন 3:16-17 (15) ১ যোহন 3:16 (16) রোমিয় 6:23 (17) ১ যোহন 5:12 (18) উপদেশক 3:11 (19) প্রকাশিত বাক্য 21:4 (20) প্রকাশিত বাক্য 21:27; ১ করিন্থিয় 15:28 (21) গীত 34:8 (22) যোহন 14:27 (23) যোহন 1:12 (24) যোহন 14:6 (25) প্রকাশিত বাক্য 3:20 (26) যোহন 10:10 (27) যোহন 14:23 (28) ১যোহন 5:11-13 (29) রোমীয় 8:28 (30) যোহন 14:27 এবং 16:33 (31) ইব্রিয় 13:5


এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More