×
অনুসন্ধান
EveryBengaliStudent.com
জীবন এবং ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্নগুলি
 আবিস্কার করার জন্য নিরাপদ স্থান
সম্পর্কগুলি

যৌনতা এবং ঘনিষ্ঠতার জন্য অনুসন্ধান

কীভাবে ভালবাসতে হয় এবং ভালবাসা পেতে হয় তা খুঁজে বের করুন আপনার সম্পর্কগুলোর সাথে সত্যিকারের ঘনিষ্ঠতার অভিজ্ঞতা পান…

WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More PDF

ডিক পুরনেল এর লেখা

ড. হেনরি ব্র্যান্ডিট, তার কলেজিয়েট চ্যালেঞ্জ ম্যাগাজিনে বলেছেন যে তার কাছে যে সকল দম্পতিরা আসে তাদের কিছু উপসর্গ, নকশা আছে। তারা বলে,‘‘ প্রথমে, মিলন উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। তারপর আমি নিজের সম্পর্কে অদ্ভুত মনে করতে শুরু করি, আর তারপর আমি আমার সঙ্গীর সম্পর্কেও অদ্ভুত অনুভব করতে থাকি। আমরা তর্ক করেছি এবং লড়াই করেছি আর শেষে আমরা সম্পর্কভাঙ্গন করেছি। এখন আমরা একজন আরেকজনের শত্রু।’’

এই উপসর্গকে আমি মর্নিং আফটার উপসর্গ হিসেবে আখ্যা দিয়েছি। আমরা জেগে উঠি এবং খুঁজে পাই যে সেই ঘনিষ্ঠতা আর নেই। যৌন সম্পর্ক আর আমাদেরকে পরিতৃপ্ত করতে পারে না, আর শেষে যা হয় তা আমরা প্রথমদিকে কখনই চাই না। আপনার কাছে যা আছে তা হল দুই ধরনের আত্নকেন্দ্রিক মানুষ যারা নিজের পরিতৃপ্তি খুঁজে বেড়ায়। বিশুদ্ধ ভালবাসা এবং ঘনিষ্ঠতার উপাদানগুলো ‘‘তাৎক্ষণিকভাবে’’ পাওয়া যায় না এবং আপনি ঐক্যতার খোঁজে বেড়িয়ে নিজেকে ভারসাম্যহীন অবস্থায় খুঁজে পাবেন।

ঘনিষ্ঠতার মানে হল শারীরিক কিছুর উর্ধ্বে

আমাদের প্রত্যেকের জীবনেরই পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। আমাদের শারীরিক, আবেগিক, মানসিক, সামাজিক, এবং আত্নিক অংশ রয়েছে। এই পাঁচটি অংশের প্রত্যেকটিই একসাথে কাজ করার জন্য তৈরী করা হয়েছে। ঘনিষ্ঠতার জন্য খোঁজ এবং এর সমাধান আজকে, বা আগামীকালের মধ্যেই আমরা পেতে চাই। আমাদের অন্যতম একটি সমস্যা হল আমরা কোন কিছুর পরিতৃপ্তি ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ পেতে চাই। যখন আমরা একটি সম্পর্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা না পাই তখন আমরা এর ‘‘তাৎক্ষণিক’’ সমাধান বের করি। আমরা কোনটা দেখছি? শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, আবেগিক নাকি আত্নিক? এটা হল শারীরিক বিষয়। কারও সাথে অন্য চারটি অংশের দিক থেকে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়াটা সহজ। আপনি এক ঘন্টা বা আধা-ঘন্টার মধ্যে বিপরীত লিঙ্গের কারও সাথে ঘনিষ্ঠ হতে পারেন—এটা আসলে চাহিদার উপর নির্ভরশীল! কিন্তু শীঘ্রই আপনি বুঝতে পারবেন যে যৌনতা তাৎক্ষণিক আকাঙ্খা মেটানোর জন্য ক্ষণস্থায়ী একটি উপায় মাত্র। এর চেয়ে আরও গভীর চাহিদা আছে যা এখনও অদেখা রয়ে গেছে।

যখন আপনি বার বার মিলনে লিপ্ত হন তখন কি আপনার এর প্রতি চাহিদা কমতে থাকে না? আমরা যৌক্তিকভাবে একে এটা বলি,‘‘ আমরা প্রেমে পড়েছি। না, সত্যিই আমরা প্রেমে পড়ছি।’’ কিন্তু তবুও আমাদের মধ্যে কলুষতা এবং অতৃপ্তি কাজ করে। আমি আমেরিকার সব ক্যাম্পাসগুলোতে আমি পুরুষ এবং মহিলাদেরকে ঘনিষ্ঠতার জন্য অনুসন্ধান করতে দেখি, তারা এক সম্পর্ক থেতে আরেকটি সম্পর্কে এই ভেবে স্থানান্তরিত হয় যে,‘‘ এইবার সম্পর্কটা ঠিক হবে। এবার আমি এমন সম্পর্ক খুঁজে বের করব যেটা স্থায়ী হবে।’’

আমি বিশ্বাস করি যে আমরা সত্যিকারভাবে যা চাই সেটা যৌনতা হতে পারে না। আমরা যা চাই তা হল ঘনিষ্ঠতা।

আজকে, ঘনিষ্ঠতা শব্দটা যৌনতা দ্বারা সজ্ঞায়িত হয়ে গেছে। কিন্তু এটা এর থেকেও বেশি কিছু। এতে আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলোও অন্তর্ভুক্ত—আর হ্যাঁ, শারীরিক, কিন্তু সামাজিক, আবেগিক, মানসিক এবং আত্নিক ক্ষেত্রগুলোও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সত্যিকার ঘনিষ্ঠতার মানে হচ্ছে সার্বিক জীবন শেয়ার করা। আর আমাদের মধ্যে কি একবারের জন্যও কাছাকাছি হওয়া, একাকীত্ব, নিজের জীবনের বিষয়ে কারও সাথে শেয়ার করার আকাঙ্খা হয় নি?

ঘনিষ্ঠতার ভয়-ভালবাসা পাওয়ার জন্য ভীত?

মার্শাল হজ ইয়োর ফিয়ার অফ লাভ্ নামের একটি বই লিখেছেন। এটাতে তিনি লিখেছেন যে,‘‘ আমরা ভালবাসা, ঘনিষ্ঠতা, কোমলতা প্রকাশের মুহূর্তের জন্য প্রায়শই অপেক্ষা করি, কিন্তু প্রায়ই আমরা কঠিন পর্যায়ের সামনাসামনি হয়ে পেছনে ফিরে আসি। আমরা কাছাকাছি হতে ভয় পাই। আমরা ভালবাসাকে ভয় পাই।’’ পরবর্তীতে এই একই বইতে হজ এটা লিখেছেন যে, ‘‘আপনি কারও যত কাছাকাছি যাবেন, তত বেশি সেখানে ব্যাথা পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা হল ব্যাথা পাবার ভয় যেটি আমাদেরকে সত্যিকারের ঘনিষ্ঠতা থেকে দূরে নিয়ে যায়।

আমি এটা অনুমান করতে পারি যে আপনি( এবং জনসংখ্যার প্রায় ১০০ শতাংশ) মানুষ বলবেন যে আপনি আপনার আগের সম্পর্ক থেকে কষ্ট পেয়েছেন। এখানে প্রশ্ন হল, কীভাবে আপনি এই কষ্ট সহ্য করবেন? এই কষ্টকে ছদ্দবেশধারী করানোর জন্য, আমাদের মধ্যে অনেকেই একে ‘‘দ্বি-চিহ্ন’’ বলবেন। আমরা এমন ব্যক্তিকে বলি,‘‘দেখুন, আমি আপনার সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চাই। আমি ভালবাসতে চাই এবং ভালবাসা পেতে চাই... কিন্তু এক মিনিট অপেক্ষা করুন, আমি তো আগে কষ্ট পেয়েছি। না, আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমি এইসব বিষয়গুলো নিয়ে শুনতেও চাই না।’’ আমরা আমাদের অন্তরের চারপাশে দেয়াল দিয়ে রাখি যাতে কেউ যেন আমাদের কষ্ট না দিতে পারে। কিন্তু সেই দেয়াল যেটি কাউকে কষ্ট দিতে বাধা দেয়, সেই একই দেয়াল আমাদের নিজেকে ভেতরে আবদ্ধ করে রাখে। এর ফলাফল কি? একাকীত্ব এখানে এঁটে বসে এবং সত্যিকারের ঘনিষ্ঠতা এবং ভালবাসা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

ভালবাসা কি?

ভালবাসা আবেগের চাইতে বেশি কিছু, এবং এটি সুখকর কোন অনুভূতির থেকে বেশি কিছু। কিন্তু ঈশ্বর ভালবাসা, মিলন এবং ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে যা বলেছেন তা আমাদের সমাজ নিয়ে গেছে এবং একে আবেগ এবং অনুভূতির মত সহজ বিষয়ে পরিবর্তিত করেছে। ঈশ্বর বাইবেলে ভালবাসার বিবরণ চমৎকারভাবে ব্যক্ত করেছেন, বিশেষ করে ১ম করিন্থীয়, অধ্যায় ১৩ তে। আপনি যাতে ঈশ্বরের ব্যক্ত ভালবাসা সম্পর্কে এই বিবরণীর মূলভাবটি বুঝতে পারেন সেজন্য আমি চার থেকে সাত পর্যন্ত পদগুলোকে (১ম করিন্থীয় ১৩:৪) এইভাবে প্রকাশ করে দিচ্ছি। যদি কোন ব্যক্তি ঈশ্বরের মত আপনাকে ভালবাসে এবং বলে যে আমাদেরকে ভালবাসা হয়েছে তাহলে সেটা আপনার কতটুকু প্রয়োজন মেটাতে পারবে:

  • যদি সেই ব্যক্তি আপনার সাথে ধৈর্য্য, দয়া দেখানোসহ আপনাকে হিংসা না করে তাহলে কেমন হবে?
  • যদি সেই ব্যক্তি গর্ব এবং অহংকার না করে তাহলে?
  • কেমন হবে যদি সেই ব্যক্তি আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার না করে অথবা নিজের সুবিধার চেষ্ঠা করে না বা রাগ করে না?
  • কেমন হবে যদি সেই ব্যক্তি আপনার মন্দ ব্যবহার মনে না রাখে?
  • কেমন হবে যদি সেই ব্যক্তি আপনার সাথে খারাপ কিছু নিয়ে আনন্দ করে না, কিন্তু সে আপনার সাথে সত্যবাদীত্ব করে?
  • কেমন হবে যদি সেই ব্যক্তি আপনাকে রক্ষা করে, বিশ্বাস করে, সর্বদা আপনার সব কিছুতে আশা রাখে এবং আপনার সকল অবস্থাতেই স্থির থাকে?

এভাবেই ঈশ্বর ভালবাসাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তিনি চান যেন আমরা সম্পর্কগুলোর অভিজ্ঞতা লাভ করি। আপনি এটা লক্ষ্য করবেন যে, এই ধরনের ভালবাসা ‘‘অন্য ব্যক্তি’’ কেন্দ্রীক। এটা হল আত্নসাৎ করার বিপরীতে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। আর এখানেই সমস্যা রয়েছে। কে এভাবে জীবন-যাপন করতে পারে?

সত্যিকারের ঘনিষ্ঠতার জন্য আমাদের প্রথমেই যা প্রয়োজন তা হল আমাদেরকে ভালবাসা হয়েছে তা অনুভব করা

এই ধরণের সম্পর্কগুলোতে ভালবাসার অভিজ্ঞতা লাভের জন্য আমাদেরকে প্রথমেই আমাদের প্রতি ঈশ্বরের ভালবাসার অভিজ্ঞতা লাভ করতে হবে। যদি আপনি কখনও এই ধরনের ভালবাসার অভিজ্ঞতা না লাভ করেন তাহলে আপনি ধারাবাহিতভাবে কারও প্রতি এই ধরনের ভালবাসা দেখাতে পারবেন না। ঈশ্বর যিনি আপনাকে জানেন, যিনি আপনার সকল বিষয় সম্পর্কেই জানেন, তিনি আপনাকে নিখুঁতভাবে ভালবাসেন।

ঈশ্বর প্রাচীন একজন ভাববাদী, যিরমিয়ের মাধ্যমে আমাদের এটা বলেন যে,‘‘ অশেষ ভালবাসা দিয়ে আমি তোমাদের ভালবেসেছি; অটল ভালবাসা দিয়ে আমি তোমাদের কাছে টেনেছি।’’ (যিরমিয় ৩১:৩)। তাই আপনার প্রতি ঈশ্বরের ভালবাসা কখনও পরিবর্তিত হবে না।

ঈশ্বর আমাদেরকে এতটাই ভালবাসলেন যে তিনি আমাদের পাপের জন্য যীশু খ্রীষ্টকে ক্রুশে মৃত্যুবরণ (শাস্তির একটি প্রাচীনতম পদ্ধতি) করতে দিলেন যাতে করে আমরা পরিষ্কৃত হই। আমরা বাইবেলে পড়ি যে,‘‘ ঈশ্বর মানুষকে এত ভালবাসলেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে তিনি দান করলেন, যেন যে কেউ সেই পুত্রের উপরে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।’’ (যোহন ৩:১৬)। যখন আমরা ঈশ্বরের দিকে ফিরি এবং তাঁর ক্ষমা গ্রহল করি, তখন আমরা তাঁর ভালবাসার অভিজ্ঞতা লাভ করা শুরু করি।

ঈশ্বর আমাদের বলেন,‘‘ যে লোকের ভিতরে এই গুণগুলো নেই সে বেশী দূর দেখতে পায় না, সে অন্ধ। তাকে যে তার আগেকার পাপ থেকে শুচি করা হয়েছে তা সে ভুলে গেছে। (১ম যোহন ১:৯)। ঈশ্বর শুধুমাত্র আমাদের পাপই ক্ষমা করেন না, তিনি আমাদের পাপ মনে রাখেন না এবং আমাদেরকে পরিষ্কৃত করেন।

এভাবে ভালবাসা পেলে কেমন হবে?

যাই হোক না কেন ঈশ্বর আমাদেরকে ভালবাসতেই থাকেন। যখন কোন মারাত্বক কোন দুর্ঘটনা ঘটে বা আর্থিক ক্ষতি হয় তখন প্রায়ই সম্পর্কগুলোর অবসান ঘটে। কিন্তু ঈশ্বরের ভালবাসা আমাদের শারীরিক অবস্থা বা আমি কে বা আমি কি সেটার উপর নির্ভর করে হয় না।

আপনি দেখতেই পাচ্ছেন, আমাদের সমাজ যাকে ভালবাসা বলে থাকে সেটার থেকে ঈশ্বরের ভালবাসা একেবারেই আলাদা। আপনি কি এই ধরণের ভালবাসাপূর্ণ কোন সম্পর্কের কথা ভেবে দেখেছেন? ঈশ্বর শুধু আমাদেরকে তাঁর ক্ষমা এবং ভালবাসার পাবার জন্য তাঁর কাছে অনুরোধ করতে বলছেন। এটা আমাদের জন্য উপহারস্বরূপ। কিন্তু আমরা এই উপহার নিই না, আমরা নিজেরাই সত্যিকারের পূর্ণতা, সত্যিকারের ঘনিষ্ঠতা এবং জীবনের আসল উদ্দেশ্য খুঁজে না পাবার জন্য নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখি।

ঈশ্বরই এর উত্তর দেন। আমাদের শুধু বিশ্বাসে সাড়া দিতে হবে এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। যীশুর সম্বন্ধে বাইবেল বলে:‘‘ তবে যতজন তাঁর উপর বিশ্বাস করে তাঁকে গ্রহণ করল তাদের প্রত্যেককে তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দিলেন।’’ (যোহন ১:১২)। ঈশ্বর আমাদের পাপের জন্য তাঁর একমাত্র পুত্রকে আমাদের পরিবর্তে মৃত্যুবরণ করার জন্য পাঠিয়েছেন। কিন্তু এখানেই এই ঘটনার শেষ নয়। তিন দিন পর, যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হলেন, তিনি আজকেও জীবিত আছেন এবং তিনি চান যেন আমরা তাঁর ভালবাসাকে আমাদের অন্তরের রাখি। একবার আপনি তাঁকে গ্রহণ করে দেখুন, তিনি আপনার জীবনে এবং সম্পর্কগুলোতে কি করতে পারেন তা দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

ঈশ্বরের বাক্য আমাদের বলে,‘‘ যে কেউ পুত্রের উপরে বিশ্বাস করে সে তখনই অনন্ত জীবন পায়, কিন্তু যে পুত্রকে অমান্য করে সে সেই জীবন কখনও পাবে না, বরং ঈশ্বরের ক্রোধ তার উপরে থাকবে।’’ (যোহন ৩:৩৬)। ঈশ্বর চান যেন আমরা শুধু আজকের জন্যই না, বরং অনন্তজীবন পাই। যদি আমরা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করি তাহলে আমরা পাপের পরিণতিকে বেছে নিয়েছি যার ফলাফল হল মৃত্যূ এবং তাঁর কাছ থেকে অনন্তকালের জন্য বিচ্ছেদ।

এটা হল যীশুকে গ্রহণ করা যার মানে হল আমাদের জীবনে তাঁকে আসতে দেওয়া এবং তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, যেটা আমাদের জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখে। ঈশ্বরেরর প্রতি বিশ্বাস ঈশ্বরের ক্ষমাকে প্রকাশ করে। আর লুকিয়ে থাকা নয়, এবং আর নিজের ইচ্ছামত পথচলা নয়। তিনি সবসময়ই আমাদের সাথে আছেন। আমরা তাঁর সাথে শান্তিতে রয়েছি।

তাঁর উপর আমাদের বিশ্বাস এবং নির্ভরতা রাখার পর, তিনি আমাদের জীবনে বসবাস করতে শুরু করেন এবং আমরা তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়া শুরু করি। তাঁর ক্ষমা আমাদেরকে গর্হিত পাপগুলো, গভীরতম আত্ন-কেন্দ্রীকতা, জটিলতর সমস্যা বা সংগ্রাম যা আমরা ইতোমধ্যেই সম্মুখীন হয়েছি বা হব সেগুলো থেকে পরিষ্কৃত করে।

বাইবেলজুড়ে, যৌনতার বিষয়ে ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ খুবই স্পষ্ট। ঈশ্বর যৌনতাকে শুধুমাত্র বিয়ের ক্ষেত্রেই সমর্থন করেছেন। তিনি আমাদের দুর্দশাগ্রস্ত করতে চান না বরং আমাদের হৃদয় রক্ষা করতে চান। তিনি আমাদের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করতে চান যাতে করে যখন আমরা বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করব সেটার ঘনিষ্ঠতার ভিত্তি ঈশ্বরের ভালবাসা এবং জ্ঞানের নিরাপত্তায় থাকে।

ঘনিষ্ঠতা নিরাপত্তা এবং ভালবাসা পাওয়ার চিন্তা থেকে উত্থাপিত হয়

যখন আমরা যীশু খ্রীষ্টের উপর আমাদের বিশ্বাস স্থাপন করি, তখন তিনি প্রতিদিনই আমাদের নতুন ভালবাসা এবং নতুন শক্তি দান করেন। আমরা যে ঘনিষ্ঠতার পরিতৃপ্তি খুঁজছি এখানেই তা আছে। ঈশ্বর আমাদেরকে এমন ভালবাসা দেন যেটি কখনও কমে না, এবং বছরের পর বছর ধরে এবং সময়ের পরিবর্তনের সাথে কখনও থেমে যায় না। তাঁর ভালবাসা দুজন মানুষের মিলনের মধ্যবর্তী স্থানে তাঁকে রেখে একত্র করতে পারে। কোন প্রেমের সম্পর্কে, আপনারা একসাথে বৃদ্ধি পেতে থাকেন, কিন্তু এটা আত্নিকভাবে বৃদ্ধি নয়, এটা হল সামাজিকভাবে, মানসিকভাবে এবং আবেগিকভাবে বৃদ্ধি, আপনি একটি সৎ, যত্নশীল এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে থাকেন যেটা পূর্ণতামূলক এবং আকর্ষণীয়! আর যখন কোন সম্পর্ক দাম্পত্য জীবনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছায় তখন শারীরিক মিলন শুধুমাত্র গড়ে ওঠা ভিত্তির বৃদ্ধিসাধন করতে পারে।

আমাদের যেকোন সম্পর্কগুলোতে যখন আমরা জানি যে ঈশ্বর আমাদের ভালবেসেছেন তখন সেটা আমাদেরকে অন্যদেরকে আরও নিখুঁতভাবে ভালবাসার জন্য সাহায্য করে। আমরা আবেগীকভাবে কম চাহিদাসম্পন্ন। হিংসা, তিক্ততা, এবং অসততা অনেক সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য হতে পারে যেটা আমাদের একমাত্র বিকল্প উপায় নয়। আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের এর মধ্যে যাওয়া উচিত নয়। তার পরিবর্তে, আমরা এই খেলাকে দূরে সরিয়ে রেখে, সত্যবাদী, এবং এমনকি অপরাধ ক্ষমা করে দিতে পারি। সহজভাবে বললে, যখন আমরা ঈশ্বরের ভালবাসার অভিজ্ঞতা পাই তখন এটি আমাদেরকে অন্যদের সম্পর্কে ইতিবাচত ভিন্ন দৃষ্টিকোণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আপনি কি ঈশ্বরকে জানতে চান এবং আপনার জীবন এবং সম্পর্কগুলোতে তাঁর পরিচালনা পেতে চান?

আপনি প্রার্থনার মাধ্যমে এখনই খ্রীষ্টকে গ্রহণ করতে পারেন। প্রার্থনা হল ঈশ্বরের সাথে কথা বলা। ঈশ্বর আপনার অন্তর জানেন এবং তিনি আপনার বলা কথার চেয়ে আপনার অন্তরের আচরণ দেখেন। এখানে একটি পরামর্শমূলক প্রার্থনা দেওয়া হল: ‘‘প্রভু যীশু, আমি তোমাকে চাই। আমার পাপের জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমি আমার জীবনের দরজা খুলে তোমাকে আমার রক্ষাকর্তা এবং প্রভু হিসেবে গ্রহণ করতে চাই। আমার পাপ ক্ষমা করে আমাকে অনন্ত জীবন দেয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমার জীবনের পরিচালনাভার গ্রহণ কর এবং আমাকে তুমি যেমন মানুষ হিসেবে দেখতে চাও সেভাবে আমাকে তৈরী কর।’’

এই প্রার্থনাটি কি আপনা অন্তরের আকঙ্খা প্রকাশ করে? যদি এটা করে থাকে তাহলে এখনই এই প্রার্থনাটি করুন। খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস স্থাপন করলে তাঁর প্রতিজ্ঞানুযায়ী তিনি আপনার জীবনে আসবেন। এতে করে তাঁর সাথে আপনার একটি সম্পর্ক সৃষ্টি হবে যেটি আপনি যতই তাঁকে জানবেন ততই সেটা তাঁর সাথে আপনার ঘনিষ্ঠতাকে বৃদ্ধি করবে।

আর তাঁকে মধ্যবর্তী স্থানে রেথে আপনার জীবনের একটি নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে- যেটা হবে আত্নিক বৃদ্ধি—যেটা আপনার সকল সম্পর্কগুলোকে ঐক্যতা এবং পূর্ণতা দান করবে।

ঈশ্বরকে জানা এবং আপনার জন্য তাঁর ভালবাসার অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আমি ঈশ্বরের ভালবাসার সাথে অন্যদেরকেও ভালবাসতে পারবেন যেটা গভীর ঘনিষ্ঠতার দিকে পরিচালিত হবে।

 আমি এই মাত্রই যীশুকে আমার হৃদয়ে গ্রহণ করেছি (কিছু সাহায্যকারী অনুসরণকারী তথ্য)…
 আমি যীশুকে আমার অন্তরে গ্রহণ করতে চাই, দয়া করে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিন…
 আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে…

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More