×
অনুসন্ধান
EveryBengaliStudent.com
জীবন এবং ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্নগুলি
 আবিস্কার করার জন্য নিরাপদ স্থান
ঈশ্বরকে জানা

যীশুর অলৌকিক কাজসমূহ

যীশুর অলৌকিক কাজগুলো কি লোকদেরকে তাঁর ঈশ্বরত্ত্ব নিয়ে ধোকা দেওয়ার জন্য কোন কৌশল ছিল? এটা আমরা কীভাবে জানতে পারি? এটা দেখুন…

WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More PDF

অলৌকিক কাজ ঈশ্বরের কার্যক্রমের প্রকাশ ঘটায়। এ কাজগুলো প্রকৃতির সাধারণ নিয়ম, পদার্থবিদ্যার সাধারণ নিয়মগুলো অনুযায়ী হয় না। এগুলো কেবলমাত্র ঈশ্বরই করতে পারেন।

একই সাথে, আমরা জানি যে ধর্মীয় কিছু সহ শিল্পী আছেন যারা শ্রোতাদেরকে ধোকা দেবার জন্য কোন কাজকে অলৌকিক কাজ বলে বিশ্বাস করানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন, যেগুলো আসলে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারক চমৎকার অভিনয় ছাড়া কিছুই নয়।

তাহলে যীশুর অলৌকিক কাজগুলো কি ছিল?

আমরা কীভাবে জানতে পারব যে যীশু খ্রীষ্টের অলৌকিক কাজগুলো সত্যিই তাঁর ঈশ্বরত্ত্বের প্রকৃত প্রদর্শন ছিল (যেমনটা তিনি দাবি করেছিলেন)?

নাকি এই আশ্চর্য কাজগুলো জনতাকে ধোকা দিয়ে তাঁকে অনুসরণের জন্য করা হয়েছিল?

বিশ্বমানের একজন যাদুকর, আন্দ্রে কোলের এ সম্পর্কে দারুন এক দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আন্দ্রে কোলে সারা বিশ্বজুড়ে কয়েকশত মিলিয়ন লোকের সামনে তার যাদু দেখিয়েছেন এবং ১০০০ এরও বেশি যাদুর কৌশল আবিষ্কার করেছেন।

আজ বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত সাতজন যাদুকরেরা আন্দ্রে কোলের যাদুর কৌশল ব্যবহার করতে তার সাথে অংশীদার হয়েছেন।

পরবর্তীতে, সরকার আন্দ্রে কোলেকে ‘‘অলৌকিক কর্মী’’ যারা লোকদেরকে অর্থ দানের মাধ্যমে প্রতারণমূলক অলৌকিক নিরাময়ের কাজ করছিল তাদেরকে তদন্ত করার জন্য কমিশন দিয়েছে।

আন্দ্রের জীবনকালে, কখনও তিনি লোকদেরকে ধোকা দেওয়া এই ভন্ডদের কৌশল খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন নি।

আর তাই, আন্দ্রেকে একবান একজন যাদুকরের দৃষ্টিকোণ থেকে যীশুর অলৌকিক কাজগুলোকে তদন্ত করার জন্য চ্যালেঞ্জ করা হয়।

আন্দ্রে ব্যক্তিগতভাবে একজন ধার্মীক নাস্তিক ছিলেন। তিনি একজন নাস্তিকের করা এই উক্তিটির প্রতি সহানূভূতিশীল ছিলেন:

‘‘খ্রীষ্টধর্মের সফলতা এত দীর্ঘসময় ধরে এজন্যই হয়েছে কারণ যীশু তাঁর কাজের ক্ষেত্রে অভাবনীয়ভাবে সফল ছিলেন আর হয়ত তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট যাদুকর ছিলেন।’’

ধর্মনিরপেক্ষ এবং ধর্মস্বপক্ষের উভয় ঐতিহাসিকরাই যীশুর অলৌকিক কাজগুলোর বিষয়ে প্রতিবেদন করেছেন।

প্রথম শতাব্দীর ইতিহাসবিদ, জোসেফাস ফ্লাভিয়াস, যীশুকে নিয়ে তাঁর ইহুদি পুরাকীর্তীতে লিখেছিলেন। ‘‘... আমরা শিখেছি যে যীশু একজন জ্ঞানী লোক ছিলেন যিনি আশ্চর্যজনক বিষয় সম্বন্ধে বলতেন, লোকদেরকে শিক্ষা দিতেন, যিহুদি এবং গ্রীকদের মধ্য থেকে অনেক অনুসারী অর্জন করেছিলেন…’’

যিহুদি টালমুডাগ্রিস এ যীশুর জীবনের মূল ঘটনাগুলো উল্লেখ আছে। আমরা শিখেছি যে যীশু বিবাহ-বন্ধন আবদ্ধের আগেই মায়ের গর্ভে এসেছিলেন, শিষ্যদের একত্রিত করেছেন, নিজের সম্পর্কে ঈশ্বরনিন্দাপূর্ণ দাবি করেছেন, এবং আলৌকিক কার্যসাধন করেছেন, কিন্তু এই অলৌকিক কাজগুলো ঈশ্বরের কোন কাজ নয়, এগুলো ছিল যাদুবিদ্যা।’’

তাহলে এখানে এই প্রশ্ন আসে যে, কীভাবে যীশু এই কাজগুলো করেছিলেন?

বাইবেলে যীশুর সম্পর্কে এই চারটি জীবনকাহিনী পাওয়া যায়, যেগুলো যীশুর তিন বা সাড়ে তিন বছরের জন সেবাতে বিশাল বৈচিত্র্যপূর্ণ অলৌকিক কাজগুলোর উল্লেখ পাওয়া যায়। যীশু গালীল সাগরের মধ্য দিয়ে হেঁটেছেন, অন্ধকে সুস্থ করেছেন, মৃত ব্যক্তিদের জীবিত করেছেন, মূহূর্তের মধ্যে হাজার হাজার লোকদের জন্য খাবারের যোগান দিয়েছেন, রোগীদের সুস্থ করেছেন, মুখের কথার দ্বারা বিধ্বংসী ঝড়কে শান্ত করেছেন ইত্যাদি।

যীশু তাঁর এই অলৌকিক কাজগুলোকে নিজের ঈশ্বরত্বের প্রমাণস্বরূপ চিহ্নিত করেছেন

যীশু বলেছেন ‘‘আমার পিতার কাজ যদি আমি না করি তবে আপনারা আমাকে বিশ্বাস করবেন না।কিন্তু যদি করি তবে আমাকে বিশ্বাস না করলেও আমার কাজগুলো অন্ততঃ বিশ্বাস করুন। তাতে আপনারা জানতে ও বুঝতে পারবেন যে, পিতা আমার মধ্যে আছেন আর আমি পিতার মধ্যে আছি।”

যীশু তাঁর ঈশ্বরত্ত্ব দাবিতে বেশ স্পষ্ট ছিলেন। তিনি বলেছেন তিনি তাদের পাপর ক্ষমা দিতে পারেন, তাদেরকে অনন্ত জীবন দিতে পারেন, এবং তিনি যে এই জগতের শেষ বিচারের দিনে বিচারক হবেন এবং যারা তাঁকে বিশ্বাস করবে তাদেরকে তিনি ঈশ্বরের ভালবাসা এবং এখন আরও অর্থপূর্ণ জীবন যাপন করার সুযোগ দেবেন। ধর্মীয় প্রশাসকেরা যীশুর বিরোধীতা করেছিলেন কারণ যীশু তাদের ধর্মীয় আইন ভঙ্গ করেছিলেন এবং তাদের ভন্ডামির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। কিন্তু, যীশুর অলৌকিক কাজগুলো তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। হাজার হাজার লোকেরা যীশুর সেই অলৌকিক কাজের প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন এবং অনেকে তাঁর কাছ থেকে উপকৃত হয়েছে।

যীশু চারদিনের মৃত কবরস্থ লাসারকে জীবিত করার পর, ধর্মীয় নেতারা একটি সভা ডেকেছিলেন।

তখন প্রধান পুরোহিতেরা ও ফরীশীরা মহাসভার লোকদের একত্র করে বললেন, “আমরা এখন কি করি? এই লোকটা তো অনেক আশ্চর্য কাজ করছে।আমরা যদি তাকে এইভাবে চলতে দিই তবে সবাই তার উপরে বিশ্বাস করবে, আর রোমীয়েরা এসে আমাদের উপাসনা-ঘর এবং আমাদের জাতিকে ধ্বংস করে ফেলবে।”

যীশু কি শুধুই একজন মহান যাদুকর ছিলেন?

চমৎকার অভিনয় ছাড়া কছিুই নয়। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন। এই কারণেই আন্দ্রে কোলে একজন বিশ্বমানের যাদুকরের দৃষ্টিকোণ থেকে যীশুর অলৌকিক কাজগুলোকে তদন্ত করার চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।

আন্দ্রে কোলে দারুণ সহযোগিতা করেছেন।

তিনি এবং তার একজন ভাল বন্ধু ডেভিড কোপারফিল্ড একসাথে দারুণ কিছু যাদু দেখিয়েছেন যেমন উড়োজাহাজ বানানো, ট্রেন বানানো, এবং আসল স্ট্যাচু লিবার্টিকে (স্বাধীনতার মূর্তি) কিছু সময়ের জন্য উধাও করে ফেলেছিলেন।

আন্দ্রে ওয়াশিংটনের স্মৃতিসৌধটিকে লোকদের মাথার উপরের উচ্চতায় এমনভাবে ভাসিয়েছিলেন যাতে সেখানে যারা নিচে হাঁটছিলেন তারা তাদের নিজেদের হাত দিয়ে সেটিকে ধরে দেখেছিলেন।

কোলে বলেছেন,‘‘বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ, যারা যাদুর ইতিহাস সম্পর্কে জানে না এবং যারা একজন যাদুকরের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানে না তারা এই দাবি করতেই পারে যে যীশু একজন যাদুকর ছিলেন। যাইহোক, আমি বিশ্বাস করি যে জ্ঞানসম্পন্ন যাদুকরেরা, এই বিশ্বের যেকোন গোষ্ঠীর লোকদের চাইতে বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন আর তারা যীশুর অলৌকিক কাজগুলো যাদু বা বাস্তব ছিল কিনা তা যাচাই করার জন্য সর্বাধিক দক্ষতাসম্পন্ন।’’

আন্দ্রে কোলে এটা বুঝতে পেরেছিলেন যে যীশুর অলৌকিক কাজগুলো যদি বাস্তব হয়েই থাকে, তাহলে ঈশ্বর সত্যিই আছেন।

কোলে বলেছেন,‘‘ যীশুর অলৌকিক কাজগুলো নিয়ে তদন্ত করার মাধ্যমেই আমি তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি।’’

যীশুর অলৌকিক কাজগুলোর তদন্তে, আন্দ্রে কোলে যীশু যে যাদুকর ছিলেন না সে সম্বন্থে ১১টি কারণ খুঁজে বের করেছেন। এখানে একটি উদাহরণ দেওয়া হল্

সুসমাচার লেখক মথি, মার্ক এবং যোহন যীশুর পানির মধ্য দিয়ে হাঁটা, বিশেষভাবে গালীল সাগরের মধ্য দিয়ে হাঁটার ঘটনাটি ব্যাখ্যা

করেছেন। শিষ্যরা একটি নৌকায় করে সাগর পাড়ি দেওয়ার সময় একটি ঝড় আসায় তাদের পথে বাধার সৃষ্টি হল। যীশু মাটিতে ছিলেন এবং তিনি তাঁর শিষ্যদের কাছে আসার জন্য সাগরের উপর দিয়ে হেঁটে হেঁটে আসছিলেন।

মথির বিবরণী অনুযায়ী:

‘‘শিষ্যেরা একজনকে সাগরের উপর হাঁটতে দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে বললেন, “ভূত, ভূত,” আর তার পরেই চিৎকার করে উঠলেন। যীশু তখনই তাঁদের বললেন, “এ তো আমি; ভয় কোরো না, সাহস কর।”

যীশু আর পিতর নৌকায় উঠলে পর বাতাস থেমে গেল। যাঁরা নৌকার মধ্যে ছিলেন তাঁরা যীশুকে ঈশ্বরের সম্মান দিয়ে প্রণাম করে বললেন, “সত্যিই আপনি ঈশ্বরের পুত্র।”’

আন্দ্রে কোলের আগে থেকেই জলে হাঁটার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ছিল।

আন্দ্রে একবার টিভিতে বিবিসি এবং ডিসকাভারি চ্যানেলের বিশেষ একটি অনুষ্ঠানে যাদু দেখিয়েছিলেন। প্রযোজকেরা তাকে জিজ্ঞেস করলেন তিনি যীশুর মত জলে হাঁটতে পারবেন কিনা। তিনি বড় কোন জলের ট্যাংকে হাঁটুক তা তারা চান নি। তারা চেয়েছিলেন তিনি যেন এই কাজ কোন খোলা হ্রদে করেন, যেমনটা যীশু করেছিলেন।

আন্দ্রে বলেছেন তিনি যে জলে হাঁটছেন এ বিষয়টি নিয়ে লোকদেরকে বোকা বানানোর জন্য যে কৌশলে প্রয়োজন হতো সেগুলো আয়ত্ত করতে তার বেশ কয়েকমাস এবং হাজার হাজার ডলার খরচ করতে হয়েছে।

তিনি বলেছেন তিনি যে জলে হাঁটছেন সেটা লোকদেরকে বিশ্বাস করানোর জন্য জন্য তার তিনটি ডিজেল ট্রাকের প্রয়োজন হয়েছিল যার দ্বারা বিভ্রম সৃষ্টি করার জন্য সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা হয়েছিল...যেটা যীশু করেন নি। যীশুর সময়কালে সেখানে কোন বৈদ্যুতিক বাতি, কোন জলবাহী, কোন ছবি তোলার কৌশল ইত্যাদি ছিল না।বর্তমানে দর্শকদেরকে মুগ্ধ করতে যাদুকরদের যা প্রয়োজন হয় সেগুলো ২০০০ বছর আগে সহজলভ্য ছিল না।

ডেভিড কপারফিল্ড, ছিলেন আন্দ্রের সবচেয়ে কাছের বন্ধু,এবং হয়ত বিশ্বের সেরা একজন যাদুকরদের মধ্যে একজন যিনি এই বিষয়ে একমত যে যীশু যাদু দ্বারা তাঁর এই কাজটি করেন নি। ডেভিড কপারফিল্ড হলেন একজন ইহুদি, আর তিনি এই মন্তব্য করেছেন:

‘‘বাইবেলে বর্ণিত অলৌকিক কাজগুলো কোন যাদুকর বা বিভ্রম সৃষ্টিকারকের পক্ষে করা অসম্ভব, কিন্তু যেকোন শারীরিক অলৌকিক কাজের চেয়ে যীশু নামক ব্যক্তির ক্ষমতা বেশি ছিল যেটি শত শত শতাব্দী ধরে লোকদেরকে অর্থপূর্ণ জীবন এবং উদ্দেশ্যের দিকে পরিচালিত করেছে।’’

যীশুর অলৌকিক ঘটনাগুলো শুধুমাত্র তাঁর বলা কথার সমর্থনের জন্যই ছিল তা নয়, বরং অন্যদের প্রতি যীশুর ভালবাসার প্রকাশ অনেক স্পষ্ট ছিল।

যীশুর অলৌকিক কাজগুলো সর্বদাই লোকেদের সাহায্য করার জন্য করা হয়েছিল, এটা লোক দেখানো ছিল না।

উদাহরণস্বরূপ, এর কিছু পরে যীশু নায়িন্ নামে একটা গ্রামের দিকে চললেন। তাঁর শিষ্যেরা এবং আরও অনেক লোক তাঁর সংগে সংগে যাচ্ছিলেন।যখন তিনি সেই গ্রামের ফটকের কাছে পৌঁছালেন তখন লোকেরা একজন মৃত লোককে বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল। যে লোকটি মারা গিয়েছিল সে ছিল তার মায়ের একমাত্র সন্তান, আর সেই মা-ও ছিল বিধবা।

গ্রামের অনেক লোক সেই বিধবার সংগে ছিল। সেই বিধবাকে দেখে প্রভু মমতায় পূর্ণ হয়ে বললেন, “আর কেঁদো না।”

তারপর যীশু কাছে গিয়ে খাট ছুঁলেন। এতে যারা মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তারা দাঁড়াল। যীশু বললেন, “যুবক, আমি তোমাকে বলছি, ওঠো।”

তাতে যে মারা গিয়েছিল সেই লোকটি উঠে বসল এবং কথা বলতে লাগল। যীশু তাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিলেন।’’

এই সংস্কৃতিতে, নিজের স্বামীকে হারানো এবং তারপর নিজের একমাত্র ছেলেকে হারানো মানসিক যন্ত্রণার চেয়ে বেশি কিছু ছিল। এর অর্থ ছিল যে সেই মহিলা আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়বেন।

অন্য এক সময় যীশুর জ্ঞাতি ভাই যোহন বাপ্তাইজককে রাজা হেরোদের আদেশে শিরñেদ করা হয়েছিল। এর শোক পালন করার জন্য যীশু এবং তাঁর শিষ্যরা একটি নৌকা দিয়ে গালীল সাগর পার হয়ে একটা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু যখন তারা পৌঁছালেন তখন সেই সাগড় পাড়ে ৫০০০ এরও বেশি লোক তাদের পেছন পেছন এসেছিল।

‘‘ তিনি নৌকা থেকে নেমে লোকদের ভিড় দেখতে পেলেন আর মমতায় পূর্ণ হয়ে তাদের মধ্যে যারা অসুস্থ ছিল তাদের সুস্থ করলেন।’’

দিনশেষে যীশুর শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে বললেন, ‘‘ জায়গাটা নির্জন, বেলাও গেছে। লোকদের বিদায় করে দিন যেন তারা গ্রামে গিয়ে নিজেদের জন্য খাবার কিনতে পারে।’’

তার পরিবর্তে, যীশু একজনের কাছ থেকে পাঁচটি রুটি এবং দুইটি মাছ নিলেন এবং হাজার হাজার লোকদেরকে খাওয়ালেন। আর এখানে বলা হয়েছে ‘‘ তারা প্রত্যেকে পেট ভরে খেল। খাওয়ার পরে যে টুকরাগুলো পড়ে রইল শিষ্যেরা তা তুলে নিলেন, আর তাতে বারোটা টুকরি পূর্ণ হল।’’

এই অলৌকিক কাজগুলো হাতের ছোঁয়া ছিল না, লোকদের সাধারণভাবে যা দেখেছেন সেটার জন্য কোন কৌশলও ছিল না, তারা প্রভাবিত হয় নি।

যীশুর অলৌকিক কাজগুলো সম্পূর্ণভাবে লোকদের জীবন পরিবর্তন করেছিল।

লোকেরা তাদের রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছিল। যীশুর কারণে অন্ধরা দেখতে পারছিল, খঞ্জরা হাঁটতে পারছিল, কুষ্ঠরোগীরা তাৎক্ষণিকভাবে সুস্থ হয়ে যাচ্ছিল, মৃত ব্যক্তিরা জীবিত হচ্ছিল। তাই জনতার যীশুকে অনুসরণ করা স্বাভাবিক বিষয় ছিল!

৫০০০ লোককে খাওয়ানোর পর, পরের দিনেও তারা তাদের অনুসরণ করছিল।

যীশু তাদের উত্তর দিয়ে বললেন,‘‘ আপনারা আমার খোঁজ করছেন এজন্যই... কারণ পেট ভরে রুটি খেতে পেয়েছেন। যে খাবার নষ্ট হয়ে যায় সেই খাবারের জন্য ব্যস্ত হয়ে লাভ কি? যে খাবার নষ্ট হয় না বরং অনন্ত জীবন দান করে তারই জন্য ব্যস্ত হন।’’

‘‘ যীশু তাদের বললেন, “আমিই সেই জীবন-রুটি। যে আমার কাছে আসে তার কখনও খিদে পাবে না। যে আমার উপর বিশ্বাস করে তার আর কখনও পিপাসাও পাবে না। আমি তো আপনাদের বলেছি যে, আপনারা আমাকে দেখেছেন কিন্তু তবুও বিশ্বাস করেন না। পিতা আমাকে যাদের দেন তারা সবাই আমার কাছে আসবে। যে আমার কাছে আসে আমি তাকে কোনমতেই বাইরে ফেলে দেব না,কারণ আমি আমার ইচ্ছামত কাজ করতে আসি নি, বরং যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁরই ইচ্ছামত কাজ করতে স্বর্গ থেকে নেমে এসেছি। যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন তাঁর ইচ্ছা এই যে, যাদের তিনি আমাকে দিয়েছেন তাদের একজনকেও যেন আমি না হারাই বরং শেষ দিনে জীবিত করে তুলি।’’১০

যেমনটা আন্দ্রে কোলে এবং কোটি কোটি মানুষ শুধুমাত্র ইতিহাস জেনেই নয়, কিন্তু তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে যীশুকে সত্য হিসেবে চিনতে পেরেছে, তেমনি আপনিও তাঁকে জানতে পারেন।

যীশু বলেছেন,‘‘আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায়, আর সেই জীবন যেন পরিপূর্ণ হয়।’’

যীশুর ক্রুশারোপন এবং কবরস্থ হওয়ার পর তাঁর পুনরুত্থান ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ আশ্চর্য কাজ। তাঁর মৃত্যুর অনেক আগেই তিনি নিজের সম্পর্কে বলেছিলেন যে তিনি মারা যাবেন এবং তিন দিন পর তিনি আবারও পুনরুত্থিত হবেন।

যীশু নিজের সম্বন্ধে যা বলেছিলেন এবং তিনি আমাদের যা দিতে চাচ্ছেন সেগুলো তাঁর অলৌকিক কাজ এবং তাঁর পুনরুত্থানের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে।

যদি আপনি যীশুর জীবন এবং তাঁর পুনরুত্থান সম্বন্ধে আরও জানতে চান তাহলে দয়া করে এটি দেখুন অন্ধবিশ্বাসের উপরে

যদি আপনি তাঁর সাথে এখনই সম্পর্ক স্থাপন করতে চান তাহলে আপনি তা কীভাবে করবেন তা এখানে দেয়া আছে: ঈশ্বরকে ব্যক্তিগতভাবে জানা

 কিভাবে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক শুরু করেন
 আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে…

পাদটীকাসমূহ: (১) উইলকিনস্, মাইকেল জে, এবং মোরল্যান্ড, জে.পি. জিজাস আন্ডার ফায়ার জোনডেরভান পাবলিশিং হাউজ, ১৯৯৫),পোষ্ট. ৪০ (২) ওনরফ (৩) যোহন ১০:৩৮,৩০ (৪) যোহন ১১:৪৭,৪৮ (৫) scotthumston.com/jesus-magician-or-god-by-andre-kole/ ( (৬) মথি ১৪:২৬,২৭,৩২ (৭) ibid, scotthumston (৮) লূক ৭:১১-১৫ (৯) মথি ১৪:১৪ (১০) যোহন ৬:২৬-৩৯


এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More