×
অনুসন্ধান
EveryBengaliStudent.com
জীবন এবং ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্নগুলি
 আবিস্কার করার জন্য নিরাপদ স্থান
প্রশ্ন ও উত্তর

কিভাবে আমারা জানতে পারি যে যীশু সত্যিই এসেছিলেন?

WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More PDF

প্রশ্ন: ‘‘বাইবেল ছাড়া অন্য কি কোন ঐতিহাসিক পান্ডুলিপি বা বই আছে যেটি যীশু যে সত্যিই এসেছিলেন সে বিষয়ে প্রমাণ দেয়?’’

আমাদের উত্তর: হ্যাঁ। কর্নেলিয়াস ট্যাসিটাসকে (৫৫-১২০ খ্রীষ্টাব্দ) রোমের সর্বশ্রেষ্ট ইতিহাসবিদ বলা হয়। তিনি নিরো সম্পর্কে লিখেছেন যে, ‘‘সাধারণ খ্রীষ্টিয়ানরা তাদের বিশালতার জন্য তীব্রভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। খ্রীষ্টাস [খ্রীষ্ট] নামটির প্রতিষ্ঠাতা, তিবিরিয়ের শাসনামলে যিহূদিয়ার প্রবর্তক পন্তিয় পিলাতকে হত্যা করেছিলেন: কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য, রোধ করা কুসংস্কারগুলো শুধু যিহূদিয়ায়ই ছড়িয়ে যায় নি, এটি রোমের শহরগুলোতেও ছড়িয়ে গিয়েছিল।’’

এবং ফ্ল্যাভিয়াস জোসেফাস (৩৮-১০০+ খ্রীষ্টাব্দ) নামক একজন ইতিহাসবিদ যীশুর সম্পের্কে তার লেখা ‘‘যিহূতি পুরাকীর্তি’’ তে বলেছেন যে, যীশু এমন একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন যিনি অনেক আশ্চর্যকাজ, লোকদেরকে শিক্ষা দেওয়া, অনেক যিহূদি এবং গ্রীক অনুসারীদের মন জয় করেছিলেন যার কারণে তাঁকে মসীহ্ বলা হয়, কিন্তু তিনি যিহূদি ফরিসীদের দ্বারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং পিলাতের আদেশে ক্রুশারোপিত হবার শাস্তি পেয়েছিলেন এবং পুনরুত্থিত হয়েছিলেন বলে বিবেচনা করা হয়।’’

যীশুর অস্তিত্বের বিষয়ে শুধুমাত্র যোষেফাস এবং ট্যাসিটাসই করেন নি, অনেক ঐতিহাসিক লেখক যেমন স্যুটনিয়াস, থ্যালাস, প্লিনি দ্য ইয়াংগার এবং লুসিয়ান এর মত ব্যক্তিরাও লিখেছেন এবং তথ্য সংরক্ষণ করেছেন। আর যিহুদী তৌরাতে, ‘‘ আমরা জানতে পারি যে যীশু কোন বিবাহ-বন্ধন ছাড়াই তাঁর মায়ের গর্ভে এসেছিলেন, শিষ্যদের একত্রকরণ, নিজেকে ঈশ্বর দাবি করেছেন, এবং অনেক আশ্চর্য কাজ করেছেন, কিন্তু এই আশ্চর্য কাজগুলোকে তিনি তাঁর ঈশ্বরত্ত্ব নয় বরং যাদুবিদ্যার দ্বারা করেছেন।’’

তাই, ইতিহাসবিদগণ যীশুকে নিয়ে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় ধরণের লেখাই লিখেছেন। প্র্রাথমিক খ্রীষ্টিয়ানদের নিয়েও অনেক ঐতিহাসিক লেখনী রয়েছে।

টীকা: অনেকের অভ্যন্তরীণ কিছু উৎস রয়েছে যেখান থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে যীশু এসেছিলেন, এবং বর্তমানেও উপস্থিত আছেন। বাইবেল বলে যে খ্রীষ্টের বিষয়ে ঈশ্বরের আত্নাই সাক্ষ্য দেবেন (যোহন ১৫:২৬) এবং পৃথিবীর লোকেরাও তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দেবে (যোহন ১৬:৮-১১)। তাই, যীশু যে সত্যিই এসেছিলেন সে বিষয়ে কারও কোন প্রাচীন ঐতিহাসিক লেখনী দেখা ছাড়া বা বাইবেল ছাড়াও অন্যভাবে জানার উপায় আছে। যেকোন ব্যক্তি যীশুর সম্পর্কে অন্য যেকোন জায়গা থেকে শুনে থাকতে পারে এবং তাঁকে নিশ্চিত করার জন্য ঈশ্বর পবিত্র আত্নাকে ব্যবহার করতে পারেন।

যীশুর জীবন সম্পর্কে আরও জানার জন্য দয়া করে এই প্রবন্ধটি দেখুন: অন্ধবিশ্বাসের উপরে

 কিভাবে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক শুরু করেন
 আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে…

পাদটীকাসমূহ: (১) Annals XV, 44 as quoted in The New Evidence That Demands a Verdict by Josh McDowell. ঐতিহাসিক উৎসগুলোর জন্য এই বইটি দেখুন। (২) Noted in Jesus Under Fire by Michael J. Wilkins and J. P. Moreland, Zondervan প্রকাশনী। (৩) Ibid.


এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More