আসুন যীশু খ্রীষ্টের কয়েকটি প্রধান দিক যেগুলো বিশ্বের অন্যান্য ধর্মালম্বীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা সে সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি নজর দেয়া যাক।
১. যীশু খ্রীষ্ট আমাদের সাথে একটি সম্পর্ক তৈরী করতে চান। আপনি কি কখনও এমন কোন সম্পর্কে ছিলেন যেখানে আপনি একজন পরিচয়কারী হিসেবে ছিলেন? এ ধরনের বন্ধুত্ব সুখকর হয় না এবং বেশি দিন স্থায়ী হয় না। সবচেয়ে ভাল বন্ধু তারাই যারা একে অন্যের সান্নিধ্য এতটাই উপভোগ করে যে তারা সেই সম্পর্কের পেছনে তাদের সময় সমানভাবে দিয়ে থাকে। যেসব ধর্মগুলো ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করে চলে, তাদের থেকে আপনি দেখবেন খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বরই আপনার কাছে পৌঁছে গেছেন। যীশু কেন এসেছিলেন তা তিনি এভাবে বলেছেন: ‘‘আমি এসেছি যেন তারা জীবন পায়, আর সেই জীবন যেন পরিপূর্ণ হয়।’’ তিনি আমাদের মধ্যে যারা তাঁকে বিশ্বাস করবেন তাদেরকে অনন্ত জীবন দিতে এসেছিলেন।
২. যীশু নিজেকে ঈশ্বর দাবি করেছিলেন। পৃথিবীতে কোন ধর্মেই কেউই্ নিজেকে ঈশ্বর দাবি করেন নি।
৩. যীশু একটি নিখুঁত জীবন-যাপন করেছেন এবং তাঁর ঈশ্বরত্ত্বকে বিভিন্ন অলৌকিক কাজের দ্বারা প্রকাশ করেছেন... অন্ধদের দেখতে পাওয়া, বিধ্বংসী ঝড়কে সাগরে শান্ত করা, মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করা, হাজার হাজার লোকদের জন্য নিমিষেই খাবার যুগিয়ে দেওয়া। বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের নেতারা লোকদেরকে আকর্ষণীয় বার্তা দিয়েছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে কেউই যীশুর মত তাদের অলৌকিক ক্ষমতা দেখান নি। যীশু বলেছেন,‘‘ আমার কথায় বিশ্বাস কর যে, আমি পিতার মধ্যে আছি আর পিতা আমার মধ্যে আছেন। তা না হলে অন্ততঃ আমার এই সব কাজের জন্য আমাকে বিশ্বাস কর।’’
৪. বিশ্বে অনেক ধর্মের লোকেরা নিজেদের পাপের জন্য নিজেকে চাবুক মারার মত কঠোর আত্নত্যাগমূলক কিছু অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। যীশু আমাদেরকে ক্ষমা করতে চান কারণ ঈশ্বর হিসেবে, তিনি আমাদের পাপের বেতন দিয়ে দিয়েছেন। ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসার কথা এভাবে ব্যক্ত করেছেন: ‘‘কিন্তু ঈশ্বর যে আমাদের ভালবাসেন তার প্রমাণ এই যে, আমরা পাপী থাকতেই খ্রীষ্ট আমাদের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন।’’ ক্রুশে, যীশু আমাদের সকল পাপকে নিজে বহন করেছেন এবং তাঁর শাস্তি পেয়েছেন।
৫. যীশুর ক্রুশারোপনের তিন দিন পর তিনি পুনরুত্থিত হলেন। অনেক ধর্মই পুনরজন্মলাভের বিষয়ে বলে। যীশু, কয়েকটি পর্বে, অন্যদেরতে বলেছিলেন যে তিনি ক্রুশে মৃত্যুবরণ করবেন এবং তিন দিন পরে তিনি পুনরুত্থিত হবেন। যীশু তাঁর ঈশ্বরত্ত্বকে সকলের সামনে প্রকাশ করেছিলেন যাতে এ নিয়ে কারও কোন সন্দেহ না থাকে। রোমীয় শাসকেরা এই সম্পর্কে অবগত ছিলেন, আর তাই তারা যীশুর কবরের বাইরে ১১-১৪ জন রোমীয় সৈন্য দিয়ে পাহাড়া দিয়েছিলেন, এবং মানুষের জন্য সতর্ক চিহ্ন দিয়ে তাঁর কবর বাইরে থেকে আটকে দিয়েছিলেন। তবুও, তিন দিন পর তাঁর মৃতদেহ সেই কবরে আর পাওয়া গেল না আর যীশু ৫০০ জন এর বেশি মানুষকেও এই দিন স্বশরীরে দেখা দিয়েছিলেন। পৃথিবীতে এমন কোন ধর্ম নেই যাতে এটা বলা হয়েছে যে একটা সম্পূর্ণ মৃত ব্যক্তি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছে অথবা মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছে এমন কথা বলেছে।
৬. বাইবেলের বার্তা অনন্য। এটি কোন কাব্যিক বা বিচ্ছিন্ন ধারণাসমূহের সমষ্টি নয়। বাইবেল ঈশ্বর এবং আমাদের বেঁচে থাকার জন্য তাঁর পরিকল্পনাকে প্রকাশ করে। এটি ইতিহাসের এমন বিষয়গুলোকে সংরক্ষণ করেছে যেটি অনেক আগে একটি ভুল ছিল এবং ঈশ্বরের সাথে যে আমাদের সম্পর্কের যে ভাঙ্গন হয়েছিল তা বর্ণনা করে। এটি আমাদের বলে যে কীভাবে আমরা এই সম্পর্ককে পুনরায় জোড়া লাগাব এবং এটা করার ফলে আমাদের কি কি সুবিধা হবে। বাইবেল যা প্রকাশ করে সে সম্পর্কে ধারণা পেতে দয়া করে ঈশ্বরকে ব্যক্তিগতভাবে জানা দেখুন।
► | কিভাবে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক শুরু করেন |
► | আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে… |