×
অনুসন্ধান
EveryBengaliStudent.com
জীবন এবং ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্নগুলি
 আবিস্কার করার জন্য নিরাপদ স্থান
ঈশ্বরের অস্তিত্ব

একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি কীভাবে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আনতে পারে?

ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস এমন কিছু নয় যেটা আপনার সাথে ঘটবে। একজন সাবেক নাস্তিক ঈশ্বরে বিশ্বাসের জন্য যুক্তিযুক্ত চিন্তাভাবনা ব্যাখ্যা করেছেন…

WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More PDF

মার্লিন এ্যাডামসনের লেখা

যখন আমি একজন নাস্তিক ছিলাম, আমার কাছে এর থেকে বেশি রহস্যজনক কিছু ছিল না যে: ‘‘ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখা।’’

আমি বিষ্মিত হতাম যে, কীভাবে একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি ঈশ্বরে বিশ্বাস করা শুরু করতে পারে?

এটা কি এমন কিছু যেটা একজন ব্যক্তির সাথে ঘটে থাকে? যখন কেউ নিরুপায় থাকে তখন কি তাকে জোর করে বিশ্বাস করানো হয়?

অথবা হতে পারে এটা এতটা নাটকীয় নয়। হয়ত কিছু কিছু লোক কোন কারণ ছাড়াই খুব সহজেই ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন।

আমার সমস্যাটি ছিল, আমি অনেকটা বিশ্লেষণাত্মক, এবং আমার অনেক প্রশ্ন ছিল যেগুলোকে একেবারেই বাদ দেওয়া যেত না।

আপনার কি মতামত? আপনি কি কখনও ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে চাইবেন, এমনকি ঈশ্বরের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করবেন... কিন্তু আপনি কি প্রতারিত হওয়ার জন্য ভয় পাচ্ছেন?

আমি ঈশ্বরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম দেখে অনেক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম কারণ আমি জানতাম সেখানে কিছুই নেই—আর আমি হাস্যকর কিছুতে পড়ে গিয়েছিলাম, এটা অবশ্যই মিথ্যা কিছু হবে।

না ধন্যবাদ।

কেনই বা আমি ঈশ্বরের বিষয়ে চিন্তা করছি?

কারণ আমি আমার একজন বন্ধুকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম কারণ যে অনবরতভাবে লোকদের সাথে ভালবাসা দেখানো, বুদ্ধিমানভাবে চলা, এবং জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল। তার সবকিছুই সে ঈশ্বরের কাছে সমর্পিত করেছিল।

এটা আমাকে বিষ্মিত করেছে, ‘‘ঈশ্বর কি সত্যিই আছেন?’’

আমাদের এই অনুসন্ধান শুরু করার আগে, আমি কিছু ভুল ধারণগুলো দূর করে নিতে চাই।

১. আপনি কি কখনও এটা ভেবে বিষ্মিত হয়েছেন যে ঈশ্বর একাকী এবং তিনি আপনার কি হল তা নিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ করেন না? এই ধারাবাহিকে, আমি আপনাদের দেখাব কেন কেউ আপনাকে ভালবাসে না , বা কেন কেউ আপনাকে ঘনিষ্ঠভাবে চেনে না, অথবা কেন কেউ আপনার সাথে সম্পর্কের চেয়ে ঈশ্বরের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। এজন্য অপেক্ষা করুন এবং দেখুন।

২. আপনি কি এমন কোন দিনের অপেক্ষায় আছেন যেদিন আপনি ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়ে এতটাই প্রণোদিত হবেন যে আপনার তখন তাঁর উপর বিশ্বাস করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না? আপনাকে এটা বলার জন্য দু:খ প্রকাশ করছি যে, এটা কখনই হবে না।

৩. আমিসহ, কেউই, ১০০% নিশ্চিত নয় যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে। (আপনি জানেন, তিনি অদৃশ্য।) ঈশ্বর আপনাকে তাঁর কাছে আসার জন্য বলেন, কিন্তু তিনি আপনাকে কখনই অতিরিক্ত ক্ষমতা দেবেন না যেখানে আপনি তাঁর উপর বিশ্বাস করতে বাধ্য হন। আপনি যদি এই তাঁর উপর এই আশায় থেকে থাকেন, তাহলে শুভ কামনা রইল।

আপনি উড়োজাহাজে এটা ভেবে ওঠেন যে, সেই চালক দক্ষ, সকল যন্ত্রপাতি সচল, আর সেখানে কোন কোন সন্ত্রাস নেই। আপনার এতে বিশ্বাস করার কারণ আছে, কিন্তু আপনি ১০০% নিশ্চিত হতে পারবেন না। তবুও, আপনি একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।

বা, বিয়ের বিষয়ে কেমন হয়? বিয়ের যোগ্য সকলের মধ্যে, আপনি কি ১০০% নিশ্চিত হতে পারেন যে সেই ব্যক্তিটিই আপনার বিয়ের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি? আপনি কি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত যে তারা আপনার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে? আপনি কি নিশ্চিত যে সেই ব্যক্তিটি আপনাদের মধুচন্দ্রিমায় আপনাকে খুন করবে না? এর উত্তর না হবে। কিন্তু আপনার এটা বিশ্বাস করার কারণটি হল, এটা একটি ভাল সিদ্ধান্ত, বা আপনি বিয়েই করলেন না।

এই একইভাবে, আমরা ঈশ্বরের অস্তিত্ব এবং চরিত্র সম্পর্কে কিছু কারণ দেখাব। আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধেও কিছু কারণ দেখব (এমন কারণসমূহ সত্যিই আছে!)। আর আমরা কিছু যুক্তিসিদ্ধ কারণ দেখব যেটা তাঁকে আপনার জীবনে আসার জন্য বা না আসার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

কিছু মানুষ আছে যারা ঈশ্বর সম্পর্কে সবসময়ের জন্য অনুমাননির্ভর এবং দর্শন নির্ভর থাকতে পছন্দ করে এবং কখনই কোন কিছুর উপর স্থায়ীভাবে বিশ্বাস স্থাপন করে না। তারা কখনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না। কিন্তু যদি বিমানটিতে ওঠা আপনার জন্য জরুরি হয় তখন আপনি কি করবেন?

 কিভাবে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক শুরু করেন
 আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে…

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More