×
অনুসন্ধান
EveryBengaliStudent.com
জীবন এবং ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্নগুলি
 আবিস্কার করার জন্য নিরাপদ স্থান
জীবনের প্রশ্নগুলি

একটি অদ্ভুত-কিন্তু সত্যিকারের আত্মিক যাত্রা

জ্যোতিষশাস্ত্রের পরিচিতি একটি কর্তৃপক্ষের, রশিফল এবং মানসিক পরামর্শদাতা তার ব্যক্তিগত ঘটনা বলেছেন…

WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More PDF

মার্সিয়া মন্টিনিগ্রো এর লেখা

আত্না পরিচালনাদান, ধ্যান, জ্যোতিষবিদ্যা, অলৌকিক কার্যক্রম, ‘‘উচ্চতর ব্যক্তিস্বত্ত্বা’’, কুন্ডলিনী উত্থাপন, মানসিক সক্ষমতা বিকাশ, গুরুর কাছে প্রার্থনা, জ্যোতিষ যাত্রা, সংখ্যাবিজ্ঞান, ট্যারোট কার্ড, মৃতদের সাথে যোগাযোগ করা, ডাইনিদের সাথে থাকা, সুফি, মুক্তানন্দের অনুসারীরা, রাজনেশ, সাই্ বাবা, মহারাজি—এগুলোর আরও অনেক কিছুই আমার যাত্রার অংশ ছিল।

তাহলে কীভাবে আমি এই পথে আসলাম?

প্রতিদিনকার সাধারণ বিষয়গুলো থেকে বেশি কিছু চাওয়া

আমি একজন অজ্ঞানবাদী বাবা এবং একজন মায়ের ঘরে বেড়ে উঠেছি। আমার বোন এবং আমাকে সর্বদা চার্চে যেতেই হতো কারণ যদিও আমার মা সব সময় চার্চে যেতেন না তবুও তিনি মনে করতেন চার্চে যাওয়াটাই ঠিক কাজ। আমার বাবা বিদেশী সংস্থায় কাজ করতেন বলে আমাদের প্রায়ই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিজেদের পরিবারসহ স্থানান্তরিত হতে হতো, আর তাই আমরা বিদেশে অবস্থানরত এবং ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্ন চার্চে গিয়েছি। ঘটনাতীতভাবেই, আমি ধর্ম সম্পর্কে নিষ্ঠাবান হয়ে উঠি। উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষারত অবস্থায়, আমি ভাবতাম যে আমি যদি ভাল কাজ করি তাহলে এটাই ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করবে আর এর মাধ্যমেই আমি স্বর্গে যেতে পারব। কিন্তু অন্য ধর্মের সম্পর্কে পড়ার পর এবং অন্য ধর্মের বিশ্বাসীদের সাথে সাক্ষাr হবার পর তাদের বিষয়ে আমি আশ্চর্যিত হয়েছিলাম। ঈশ্বর এবং যীশু সম্পর্কে আমার যে জ্ঞান ছিল তার বেশিরভাগই অগভীর ছিল- আমি যা জানতাম এটি তার থেকেও বেশি কিছু ছিল। আমি আরও গভীর এবং অভিজ্ঞতাসম্বন্ধীয় কিছু চাচ্ছিলাম। খ্রীষ্টিয়ানিটিকে বিভিন্ন প্রচার, সানডে স্কুলে যাওয়া এবং ভাল কাজ করার মত বিষয়গুলো দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বলে মনে হয়েছিল। কতটা বিরক্তিকর ছিল এটা! আমি একটি বিষয় বাদ দিয়ে যাচ্ছিলাম! এমনকি আমি আমার উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়েও কখন মানিয়ে নিতে পারি নি। আমি এমন একজন ছিলাম যে কিনা কবিতা লেখে, নিজের বাসায় একজন মদ্যপায়ী, এবং নিজের সত্যিকারের কোন শেকড় না পেয়ে আলাদা অনুভূত করানোর চেষ্টা এবং অন্যান্য লোকদের থেকে আলাদা মনে করানোর চেষ্টা করে। আমি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়েই আমার যাত্রা শুরু করি।

কলেজেই অলৌকিক কার্যক্রম শুরু হয়

আমি কলেজে যে যাত্রার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম সেখানেই আমি অলৌকিক কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা লাভ করি, সেখানে আমি এমন একজন বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব করি; সে আমাকে বলে যে সে দেহজ্যোতি দেখেছে এবং সে এমন একটি আধাত্নবাদী সভায় যোগ দিয়েছিল যেখানের প্রধান ব্যক্তিরা নিজেদেরকে মৃতদের কাছ থেকে আধ্যাত্নিক ক্ষমতা লাভের দাবি জানায়।ফ্লোরিডাতে উজ্জল একটি দিনে আমি আমার চোখদুটোকে অর্ধেক বন্ধ অবস্থায় শুয়ে বিছানায় বিশ্রাম নিচ্ছিলাম, আমি অনুভাব করছিলাম যে আমি শূন্যে ভাসছি। আমি আমার চোখদুটো খুললাম এবং নিজের শরীরকে বিছানা থেকে উপরে ঘরের ছাদের কাছাকাছি দেখে হতবাক হয়ে গেলাম। একটি ধাক্কা আমার শরীরের ওপর এমনভাবে ফিরে আসল যার কারণে আমি ব্যথা পেলাম। এটাই আমার প্রথম শরীর থেকে বের হওয়ার অভিজ্ঞতা যার বিষয়ে আমার কোন ধারণাই ছিলা না যে এটা কি ছিল বা এর কি আদৌ কোন নাম ছিল। আমি এই বিষয়ে কাউকে কিছুই বললাম না।

আধ্যাত্নিক ক্ষমতা এবং জ্যোতিষবিদ্যা

এই যাত্রাটি ৭০ এর দশকে হয়েছিল যখন আমি একজন জ্যোতিষবিদের সাথে দেখা করলাম এবং আধ্যাত্নিক ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু লোতের সাথে দেখা করলাম, আর আমরা জ্যোতিষবিদ্যা নিয়ে অনেক অধ্যয়ন করলাম। আমি হিন্দু এবং বৌদ্ধ বিশ্বাস সম্পর্কেও পড়লাম। আমার মনে আছে, আমি যেখানে কাজ করতাম সেই দালানের ক্যাফেটেরিয়ায় প্রতিদিন সকালে বেদান্ত (হিন্দুধর্মের একটি সম্প্রতায়) পড়তাম। আমি আমার জীবনে বিভিন্ন চক্রের রঙ্গের যোগসূত্রগুলো দেখা শুরু করলাম, যেটি হিন্দু শাস্ত্রমতে শরীরের সাতটি অধ্যাত্নিক শক্তি হিসেবে পরিচিত। এটি এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতাগুলো আমাকে অলৌকিক কার্যকলাপ এবং পূর্ব দেশীয় বিশ্বাসের প্ররোচনামূলক জগতে মিশে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

বছরের পর বছর, অধ্যাত্নিক শক্তির জন্য আমার খোঁজ বেড়েই চলছিল। আমি জ্যোতিষবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছি এবং এটলান্টার, জর্জিয়াতে সিটি দ্বারা পরিচালিত তবে ব্যবসায়ের লাইসেন্সের যোগ্যতা অর্জনের জন্য জ্যোতিষশাস্ত্র বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ও গ্রেড করা হয়েছে এমন ৭ ঘন্টার একটি জ্যোতিষবিদ্যা সম্বন্ধীয় একটি পরীক্ষাও দিয়েছি। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমি জ্যোতিষশাস্ত্র অনুশীলন করা শুরু করলাম, এবং এক পর্যায়ে আমি জ্যোতিষশাস্ত্র সম্বন্ধে শিক্ষাও দেয়া শুরু করলাম, প্রকাশ্যে কথা বলতাম, নতুন যুগ এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের জন্য বিভিন্ন সাময়িক পত্রিকাতেও লিখতাম, এবং সেই জ্যোতিষশাস্ত্রের পরীক্ষার বোর্ডের সাথেও বসেছি যেটি জ্যোতিষবিদ্যার পরীক্ষা এবং গ্রেডিং করত, এবং আমি সেই বোর্ডের চেয়ারম্যানও হয়েছিলাম।

পৃথিবীর ধর্মগুলো মিশ্র বার্তা প্রকাশ করে

এত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেও আমার প্রশ্ন ছিল, প্রশ্নগুলো কি ছিল? যেহেতূ আমি বিশ্বাস করতাম এখানে শুধু এড়িয়ে চলা, মন্দ কিছু নয়, বর্বর নিষ্ঠুরতা এবং হত্যার ঘটনাগুলি আমাকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। যদিও আমি বিশ্বাস করতাম আমি আমার মৃত্যুর পর আবারও ফিরে আসব, কিন্তু এই মধ্যবর্তী সময়ে আমি কোথায় এবং কতটুকু সময়ের জন্য যাব? পৃথিবীর ধর্মগুলোর মিশ্র বার্তাগুলো নিয়ে আমি বেশ আরামপ্রদ ছিলাম। কেউ কেউ মনে করেন আমরা স্কুলের মত কোন একটি জায়গায় যাব আর তারপর আমাদের পরবর্তী জীবনটি বাছাই করব। অন্যান্যরা মনে করে যে আমরা আত্নিকভাবে বিশুদ্ধ হবার জন্য কোন একটি জায়গায় যাব- কিন্তু কিভাবে যাব তা ব্যাখ্যা করা হয় নি- তারপর আমাদের পরবর্তী জীবন সেখান থেকেই ঠিক করে দেয়া হবে। কিন্তু কাদের মাধ্যমে? এটা বিশ্লেষণ করা হয় নি। আমাদের শুধু এই প্রক্রিয়াটিকে বিশ্বাস করার কথা ছিল।

এখানে একটি উদ্বেগজনক শিক্ষাও ছিল যে মৃত্যুর সময় আমার যে চিন্তুাগুলো থাকবে, কিছু সময় পর সেগুলোই আমার মৃত্যুপরবর্তী অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করে দেবে। তাই বেশি সময়ের জন্য খারাপ কোন চিন্তা রাখা উচিত নয়! ঘুমানোর সময় ভীতিজনক কোন ছবির কথা চিন্তা করা উচিত নয়। এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করা বেশ ভীতিজনক—কিন্তু আসলে এই চিন্তাটাই ছিল নেতিবাচক একটি চিন্তা! আমি এই ভয়গুলোকে ধ্যান অথবা কোন গান গাওয়ার মাধ্যমে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখব।

বিশ্বের ধর্মসমূহ: পূর্বদেশে শান্তির অন্বেষণ

আমি বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় একটি ধর্ম: জেন বৌদ্ধধর্মে শান্তির খোঁজ করছিলাম। নিজেকে এমন একটি ধ্যানের সাথে জড়িত রেখেছিলাম যেটিতে সমস্ত চিন্তাভাবনা, ভয় বা কামনাগুলো উঠে আসে এবং সেগুলোকে সাড়া না দিয়ে নিজেকে আলাদা রাখাকে বোঝায়। এ বিষয়টি ধ্যানের বাইরে নিজের জীবনের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হয়। আমার মত কেউ যে তার অতীত নিয়ে আবেগিক কষ্ট বর্তমানেও বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে, এই বিষয়টিই মর্মস্পর্শী। কিন্তু যদিও সকল বইয়ে উল্লিখিত নিজেকে আলাদা রাখার বিষয়গুলো ভাল শোনালেও এর জন্য আমাকে মূল্য দিতে হতো। নিজেকে আলাদা রাখার বিষয়টি কৌশলসমৃদ্ধ এবং অপ্রাকৃতিক ছিল। আমার আশেপাশের ‘‘একাকীত্বতা’’, আরেকটি সূক্ষ্ম আধ্যাত্নিক চিহ্ন, এগুলো আমাকে শূন্যবাদী এবং হাতাশার মাধ্যমে আঘাত করেছে। আমি যদি এই অনুশীলনগুলো আরও নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করতাম, তবে হয়ত আমি ধীরে ধীরে আমার সহজাত প্রতিক্রিয়াগুলো এবং অনুভূতিগুলোকে অনুভূতিশূন্যতা দ্বারা প্রতিরোধ করতে পারতাম। কিন্তু একজন মানুষের পক্ষে কি অনুভূতিশূন্যতা যাতে কোন বিবেক ছাড়াই সকল চিন্তা, কাজ এবং আবেগকে গ্রহণ করে নেয়া যায়?

একদিকে স্বাভবিক এবং ‘‘সর্বজনীন’’ হতে শেখা অন্যদিকে নিজের সহজাত প্রক্রিয়াগুলোর অভিব্যক্তিগুলোকে ত্যাগ করার বিষয়টি এর একটি বৈপরীত্য বলে মনে হয়। অবশ্যই, এই ধরণের যুক্তিযুক্ত বিশ্লেষণকে নিরুrসাহিত করা হয়েছিল, এমনকি আক্রমণও করা হয়েছিল। তাই এই বৈপরীত্বগুলোকে গ্রহণ করা যেতে পারে বা করা হতে পারে। যদি এটা বোঝা না যায় তাহলে আরও ভাল। এই ধারণাটি যুক্তিসঙ্গত একটি চিন্তাকে বাদ দিয়ে যাওয়া যেটি আমার জ্ঞানার্জনের মধ্যাকার বাধাস্বরূপ ছিল।

বিশ্ব ধর্মসমূহ: আমি ধ্যান করার প্রতি কঠোর মনোনিবেশ করলাম

যদিও আমি নিজেকে আলাদা রাখার বিষয়টিতে ব্যর্থ হয়েছিলাম, তবুও আমি জেনের আপাতবিরোধী শিক্ষাগুলো, তাঁর ঘটনা সম্পর্কিত বইপড়া, এবং ধ্যান করা চালিয়ে গিয়েছি। আমি লক্ষ্য করলাম যে আমার প্রাথমিক ধ্যান করাকালীন সময়ে আমার সে শান্তি অনুভব হয়েছিল তা কমে যাচ্ছে, এর ফলে আমার সেই পুরোনো শান্তিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমি আরও বেশি করে ধ্যান করতে বাধ্য হয়েছিলাম।

আমি এটাও শিখেছি যে, আমার আধ্যাত্নিক শক্তির খোঁজ যেটি অতিপ্রাকৃত কোন কিছু এবং নতুন যুগের চিন্তাভাবনার বিষয়গুলোর সমাধান হল এর কোন উত্তর নেই। এদের মধ্যে কোন কিছুতেই সামান্যমাত্র সত্যতাও নেই, এবং এগুলোর কোনটিই বাস্তব নয়। আপনার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়, তাই এটা পরিবর্তনশীল এবং ব্যক্তিভেদে আলাদা হতে পারে। যদি বাস্তবতার বহুমাত্রিক ধাপ থাকে এবং সত্যিকারের সত্যের উপস্থিতি না থাকে তাহলে সত্য এবং বাস্তবতার অনেক বিপরীত দিক নিশ্চই থাকবে। সংক্ষিপ্তভাবে, ভেবে নেই এটা আকর্ষণীয় কোন খাবার আর আমি নিজের সুবিধামত যে সত্য চাচ্ছিলাম সেই সত্যতেই এটা রূপান্তরিত হয়। কিন্তু বাস্তবিক ক্ষেত্রে, যদি কেউ চূড়ান্তভাবে এই সত্যটিকে আবিষ্কার করে ফেলে তাহলে কী ধরণের পার্থক্যের সৃষ্টি হবে? বা এমন কিছু সত্যিই ছিল কিনা তা আমরা কীভাবে জানব? আর যদি তা না হয়, তাহলে যে কেউ যে কোন বিষয়ে বিশ্বাস করে সে বিষয়টার কি হবে? এই শিক্ষাগুলোর উত্তরগুলো আরও বেশি প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।

আমরা কোন সমুদ্রের মধ্যে কয়েকটি ফোঁটার মত, আমি শিখেছি, আর লক্ষ্য হল সবার শেষে, অনেক জীবনকাল পর, মহাজাগতিক একাত্বতায় মিলিত হয় যাকে অনেকে ঈশ্বর বলে। এই ঈশ্বরের শক্তি থেকেই আমরা এসেছি এবং আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্য ঠিক হয়েছে। সুতরাং, আমার পরিচয়, স্মৃতি, মেধা, এবং ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণটাকেই মহাজাগতিক ব্যক্তিত্ব গিলে ফেলবে। আমি কোথায় থাকব? এর বিরক্তিকর উত্তরটি হল যে আমার আর কোন অস্তিত্বই থাকবে না। মৃত্যু আমার কাছে অনেক চিত্তাকর্ষক হলেও অনেক অস্বস্তিপূর্ণ একটি বিষয়।

অন্যদেরকে সাহায্য করা এবং নিজের পথে সত্য থাকার সবচেয়ে ভাল উপায় হল, আমি শুনেছি এবং বার বার পড়েছি, যাতে করে নিজের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ এবং নিজেকে ভালবাসতে পারি। যদিও ‘‘ভালবাসা’’ সম্পর্কিত কথা সাধারণ একটি বিষয় এবং একে সকল কিছুর ভিত্তি হিসেবে শেখানো হয়েছিল, এমনও মনে হয়েছিল যে যদি কেউ এর ব্যবহার ন্যায্যতার জন্যই করেছে। তাই, যদি আপনার স্বামীর সাথে আপনার আত্নিক মিলন না হয়, তাহলে ‘‘সত্যিকারের ভালবাসা’’ আপনাকে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য করবে অথবা যার সাথে আপনার সত্যিকারের একটি আত্নিক বন্ধন ছিল তাঁকে খুঁজে পেতে বলবে। সর্বোপরি, এটা মহাবিশ্বের একটি ‘‘আইন’’ ছিল: ভালবাসার আইন। কিন্তু এই ভালবাসাকে সংজ্ঞায়িত করা হয় নি। এটি শুধ এমন এক ধরণের শক্তি ছিল- যে প্রেম শক্তি পুরো মহাবিশ্বের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। আমাকে ভালবাসার মত কোন ব্যক্তিগত কেউ ছিল না; মহাজাগতিক ব্যক্তিত্ব থেকে এই শক্তি আসছিল আর এটাই সেটা ছিল। কোন শক্তি কী এই বিষয়ে কিছু করতে পারে?

ঈশ্বরের ভালবাসা এবং বিশ্বের অন্যান্য ধর্মগুলো

১৯৯০ এর বসন্ত ও গ্রীষ্মের সময়ে একটি গির্জায় যাবার একটি অব্যক্ত তাড়না আমকে জড়িয়ে ধরে। যেহেতূ এতদিন আমি খ্রীষ্টিয়ানিটি, গীর্জাসমূহ এবং খ্রীষ্টিয়ানদের ঘৃণা করতাম এই ঘটনা আমাকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। প্রথমে আমি এই তাড়নাটিকে বাদ দিয়ে চলেছি, তারপর সেটিকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছি, আর তারপর, এটিকে নিয়ে কিছুদিন ঝামেলাবোধ করার পর, আমি একে ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিলাম এই আশায় যে এটা একসময় চলে যাবে। আমি এর কারণ খুঁজতে গিয়ে এটা পেলাম যে, এটা সম্ভবত আমার আগের জীবনে একজন পুরোহিত বা সন্ন্যাসী হিসেবে জীবন-যাপন করার জন্য হচ্ছে।

আটলান্টার শহরতলির একটি বড় গির্জায় আত্নিক সেবার শুরুর মহূর্তে, আমি এমন একটি ভালবাসা অনুভব করলাম যা আমি কখনই আমার নিজের মধ্য দিয়ে বয়ে যেতে অনুভব করিনি, তাই আমি খুবই জোরালোভাবে কাঁদতে শুরু করলাম। সেই ভালবাসাটা সত্যিকার ছিল। একটি মদ আসক্ত ঘর থেকে এসে আমি সেই ভালবাসা পাবার জন্য ক্ষুধার্ত ছিলাম। আমি সেই সপ্তাহের রবিবারে সেখানে আবারও গেলাম, আমি সেখানে সেই আগের অভিজ্ঞতা লাভের জন্য যাই নি, কিন্তু আমি সেখানে গিয়েছিলাম যাতে আমি যেখানে সেই ভালবাসা পেয়েছি সেখানে থাকতে পারি।

ঈশ্বরের ভালবাসা অলৌকিক ক্ষমতার থেকে আরও বেশি মূল্যবান

কয়েক সপ্তাহ পর, আমার জ্যোতিষবিদ্যা সম্পর্কে অস্বচ্ছ ধারণা বাড়তে লাগল, যদিও গীর্জায় কেউই এ বিষয়ে কোন কথাই বলে নি। আমি যা বুঝতে পারছিলাম তা হল এটি ভালবাসার ঈশ্বরের কাছ থেকে আমাকে আলাদা করে দিতে চাইছে। তখন আমি বুঝতে পারলাম যে ঈশ্বর জ্যোতিষবিদ্যা অপছন্দ করেন এবং তিনি চান যেন আমি এটি ছেড়ে দেই।আমি আমার সারাজীবনের কাজকে ছেড়ে দেব? আমি আমার পরিচয় এবং উদ্দেশ্যকে ছেড়ে দেব? আমার ছেলের পরে, জ্যোতিষবিদ্যা ছাড়া আমার কাছে আর কোন কিছুই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কিন্তু আমি অনুভব করলাম যে আমার আর কোন উপায় নেই; ঈশ্বর যে জ্যোতিষবিদ্যা অপছন্দ করেন এটা আমার কাছে খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।

আমি যা করছিলাম তাতে আমার আর বিশ্বাস ছিল না, আমি ১৯৯০ সালের শেষের দিতে জ্যোতিষবিদ্যা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেই সময়ে, আমি জ্যেতিষবিদ্যা পাঠ্যক্রম কমিটির সভাপতি ছিলাম, এটি ছিল জ্যোতিষবিদ্যা সম্পর্কিত কিছু সদস্যদের সংবলিত একটি সমাজ, আর আমাকে এদেরকে পরবর্তী পাঠদান করার কথা ছিল। তাই আমার অন্য একজন শিক্ষক খুঁজে বের করতেই হতো। আমি আমি যে আর জ্যোতিষবিদ নেই সেই বিষয়ে আমার মক্কেলকে বলতেই হয়েছে।

এখন কী হবে? আমি চিন্তা করছিলাম আমার বাইবেল পড়া উচিত, আর তাই আমি নতুন নিয়মের প্রথম পুস্তক, মথি থেকে পড়া শুরু করলাম। বাইবেল পড়াকালীন সময়ে এটি আমার মধ্যে বিশুদ্ধতা সমৃদ্ধ কিছু ঢেলে দিল, কিন্তু সেটা কি ছিল তা আমি বুঝতে পারলাম না। যদিও আমি আমার বেড়ে ওঠাকালীন সময়ে বাইবেল পড়েছি, কিন্তু এবার এটি অনেকটা আলাদা ছিল। আমি যত পড়ছিলাম আমার মনে হচ্ছিল আমি ততই ভেতর থেকে পরিষ্কৃত হচ্ছি।

যীশুর আশ্চর্য কার্যক্রম

যীশুর নামক ব্যক্তিটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। এটা এমন ছিল যেন আমি তাঁর সম্বন্ধে প্রথমবারের মত জানছি। ১৯৯০ সালের বড়দিনের আগে একদিন সন্ধ্যায় যখন আমি মথি ৮এর অধ্যায় পড়ছিলাম, তখন আমি বুঝতে পারলাম যীশু আসলে কে। নৌকায় তাঁর শিষ্যদের সাথে থাকাকালীন সময়ে একটি ভয়ানক ঝড় আসল। শিষ্যরা ভীত হয়ে যীশুকে ডেকে তুলল, এবং তাঁকে বলল যে তারা মারা যেতে চলেছে। যীশু সেই ঝড়কে থামালেন। কীভাবে? এই আশ্চর্য কাজ অন্যান্য আশ্চর্য কাজগুলোর মত নয়। তিনি শান্ত জলের কল্পনা করেন নি। তিনি যাদুবিদ্যার কোন কিছুও করেন নি। তিনি বাতাস এবং সমুদ্রকে ধমক দিলেন, আর সেগুলো তাঁর কথার বাধ্য থাকল। এর মানে হল তাঁর প্রকৃতির ওপর কর্তৃত্ব আছে।

আমি আমার পূর্ববর্তী কাজের জন্য আমি ঈশ্বরের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছি—আমি আমার সম্পূর্ণ জীবনটাই নিজের ইচ্ছামত চলেছি, যেই ইচ্ছা ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান, তাঁকে ও তাঁর বাক্যে বিশ্বাস না করতে প্ররোচনা দিয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম যে ক্ষমা পাওয়ার একমাত্র উপায় হল, ঈশ্বরের সাথে যীশুর মাধ্যমেই আমাদের পুনর্মিলনী হবে, যিনি আমার প্রতি নি:শর্ত ভালবাসায় যাতনাভোগ করেছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি বুঝতে পারলাম যে যীশুই ত্রাণকর্তা, তিনিই ঈশ্বরের পুত্র এবং পুত্রই ঈশ্বর। আমি প্রথমবারের মত বুঝতে পারলাম যে কেন যীশু ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন।

অবশেষে আমার প্রশ্নের উত্তর আসল

সেই কয়েকদিন বাইবেল নিয়ে বিছানায় বসে থাকার সময়ে, আমি জানতাম যে আমার সকল প্রশ্নের উত্তরগুলো একটি এবং একই: যীশু খ্রীষ্ট। কতটা সহজ এবং চমrকার সত্য! আর তাই আমি নিজেকে খ্রীষ্টের জন্য সঁপে দিয়েছি এবং আমি জানতাম যে সেই মুহূর্ত থেকেই আমি তাঁর সাথে সম্পর্কযুক্ত। কয়েক মাস পর, আমি জানতে পারি যেখানে আমি খন্ডকালীন চাকরিতে কাজ করেছি সেখানকার একজন খ্রীষ্টান যুবক ১৯৯০ সাল থেকে তাঁর গির্জার সহভাগিতা দলের সাথে আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

আমি যে ‘‘গুরুদের’’ বিষয়ে অধ্যয়ন করেছি যীশু তাদের থেকে একদমই আলাদা। তিনি একজন আধ্যাত্নিক পরিচালক, উচ্চ বর্ণের গুরুদের, উচ্চ ব্যক্তিস্বত্ত্বা – এ ধরণের অবাস্তব, প্রতারণাপূর্ণ বিষয় যেগুলোর অস্তিত্বের কোণ প্রমাণ নেই সেগুলোর থেকে অনেক বাস্তব ছিলেন—কারণ তিনি মাংসে প্রতীয়মান হয়ে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং আমাদের মত ক্ষুধা, পিপাসা, ব্যথ্যা এবং দু:খ অনুভব করতেন। তিনি এমন কোন বার্তা দেননি যেটি জীবনের গ্লানি এবং ধূলোকে অস্বীকার করে, কিন্তু তিনি সমাজচ্যুত ব্যক্তি, পতিতা, এবং ঘৃণীত কর আদায়কারীদের সাথে ওঠা-বসা করতেন, কিন্তু তবুও তিনি নির্দোষ ছিলেন। যতটা বাস্তব হওয়া দরকার তিনি ততটাই বাস্তব ছিলেন। সম্পূর্ণভাবে মানুষ হওয়া সত্ত্বেও, যীশু সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বর ছিলেন, এবং প্রকৃতিতেও ঈশ্বর ছিলেন কিন্তু এই গৌরবকে পাশে রেখে (ঈশ্বরত্ত্ব নয়) তিনি পুরুষ এবং মহিলার মধ্যে কষ্টভোগের জন্য এসেছিলেন। যীশু ইচ্ছাকৃতভাবেই কষ্টভোগ করেছেন, নিজের জীবন দিয়ে আমাদের পাপের জন্য মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি শারীরিকভাবে তৃতীয় দিনে পুনরুত্থিত হলেন, মৃত্যুকে জয় করলেন, যাতে আমরা ঈশ্বরের সাথে থেকে অনন্ত জীবন পাই। কোন যাদুকর, কোন আধ্যাত্নিক গুরু, কোন বুদ্ধ, কোন সামান, কোন যাদুকরী, কোন আধ্যাত্নিক কখনও মৃত্যুকে জয় করতে তো পারেই নি, উপরন্ত তারা তাদের কবরে শীতল হয়ে পড়ে আছে। কিন্তু যীশুর মৃত্যুর উপর ক্ষমতা আছে এবং তিনি বর্তমানেও জীবিত আছেন।

কোন ধরণের জ্যেতিষবিদ্যা এবং অধ্যাত্নিক শক্তি পাওয়া সম্ভব নয়

আধ্যাতিœকভাবে, আমি বৌদ্ধদের কবরে বৌদ্ধদের সাথে এবং যাদুকরদের সাথে এবং জ্ঞানপিপাসু লোক যারা সকলেই খ্রীষ্টের সত্যকে অস্বীকার করেছে তাদের সাথে থেকেছি। যে জটিল ও জটিলতর অধ্যয়ন আমাকে মুগ্ধ করেছে, সত্য এবং অন্তহীন স্তরগুলোর অনুসরণ করা, সংযুক্ত হবার অনবরত প্রচেষ্টা, অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতালাভ, যেকোন মূল্যে নিজের ধার্মিকতার উপর বিশ্বাস রাখা এসকল কিছু ছিল গোলকধাঁধা এবং ফাঁদ। এই সত্য একটি শিশুর জন্যও যথেষ্ট সহজ কারণ এই সত্য হচ্ছে একজন ব্যক্তি। যীশু সেই পথ সম্বন্ধে শিক্ষা দেন নি অথবা বলেন নি যে তাঁর সেই পথ আছে। তিনি বলেছেন তিনিই সেই পথ ;কোন রাস্তা নয়;কিন্তু একটি মাধ্যম।

আমার আগের জীবন এবং খ্রীষ্টে জীবন-যাপনের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কোনটি? পার্থক্য হয়ত এটা যে আমি এখন আগের থেকে খুশি, আর আমার জীবন অনেক সহজ হয়ে গেছে তাই তো? একদমই না। পার্থক্য এটাই যে আমি আতিœকভাবে পরিতৃপ্তি লাভ করেছি। এখনও আরও অনেক কিছু শেখার আছে এবং বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য আরও অনেক জায়গা পড়ে আছে, কিন্তু ভিত্তি হিসেবে খ্রীষ্টের কাছ থেকে শেখা এবং বৃদ্ধি পাওয়াটাই মূল বিষয়, তাঁর বাইরে অনুসন্ধান করার মাধ্যমে নয়। এই অনুসন্ধানের সমাপ্তি ঘটেছে; এই পিপাসা মিটেছে, এই ক্ষুধা নিবারণ হয়েছে।

যীশু বলেন

“আমিই পথ, সত্য আর জীবন। আমার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউই পিতার কাছে যেতে পারে না।তোমরা যদি আমাকে জানতে তবে আমার পিতাকেও জানতে। এখন তোমরা তাঁকে জেনেছ আর তাঁকে দেখতেও পেয়েছ।” যোহন ১৪:৬

‘‘কিন্তু আমি যে জল দেব, যে তা খাবে তার আর কখনও পিপাসা পাবে না। সেই জল তার অন্তরের মধ্যে উথলে-ওঠা ফোয়ারার মত হয়ে অনন্ত জীবন দান করবে।” যোহন ৪:১৪

‘‘আমিই সেই জীবন-রুটি। যে আমার কাছে আসে তার কখনও খিদে পাবে না। যে আমার উপর বিশ্বাস করে তার আর কখনও পিপাসাও পাবে না।’’ যোহন ৬:৩৫

‘‘তখন যীশু কাছে এসে তাঁদের এই কথা বললেন, “স্বর্গের ও পৃথিবীর সমস্ত ক্ষমতা আমাকে দেওয়া হয়েছে।’’ মথি ২৮:১৮

‘‘দেখ, আমি দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ঘা দিচ্ছি। কেউ যদি আমার গলার আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দেয় তবে আমি ভিতরে তার কাছে যাব এবং তার সংগে খাওয়া-দাওয়া করব, আর সে-ও আমার সংগে খাওয়া-দাওয়া করবে।’’ প্রকাশিত বাক্য ৩:২০

অনেকেই ব্যক্তিগত এবং আধ্যাতিœক পরিপূর্ণতার সন্ধানে অধ্যাতিœক ক্ষমতালাভ এবং অলৌকিক কাজ করার বিষয়গুলো অনুসরণ করে থাকে। ঈশ্বরআমাদের এই পরিপূর্ণতা দিতে চান। এই বিষয়ে আরও জানার জন্য দয়া করে এটা দেখুন ঈশ্বরকে ব্যক্তিগতভাবে জানা।

 কিভাবে ঈশ্বরের সাথে একটা সম্পর্ক শুরু করেন
 আমার একটি প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে…

এই প্রবন্ধটি শেয়ার করুন
WhatsApp Share Facebook Share Twitter Share Share by Email More